সীমান্তজুড়ে অজানা শঙ্কা, রাতে আকাশে মিয়ানমারের ড্রোন

নিউজ ডেস্ক:: বান্দরবান সীমান্তজুড়ে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। শঙ্কা যেন কিছুতেই কাটছে না সীমান্তবাসীর। প্রতিদিনই গোলাগুলি হচ্ছে তুমব্রু সীমান্তের ওপারে। তবে আগের মতো ভারি অস্ত্র এবং মর্টারশেল বিস্ফোরণের তেমন কোনো শব্দ শোনা যাচ্ছে না সীমান্তের বাংলাদেশ ভূখণ্ডে।

কিন্তু মধ্যরাতে সীমান্তের বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের ভেতরেও ঘুরে বেড়াচ্ছে মিয়ানমার বাহিনীর ড্রোন। সীমান্তবর্তী তুমব্রু বাজার, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের আশপাশের এলাকা, শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির, উত্তর তুমব্রু এলাকায় শব্দহীন ড্রোন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন সীমান্ত অঞ্চলের বাংলাদেশিরা।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো বলেন, সোমবার সীমান্তের ওপারে তেমন কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। রোববার দুপুরে কয়েকটা এবং বিকালে ও সন্ধ্যায় কয়েকটি গোলা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গিয়েছিল সীমান্তের ওপারে। শুক্রবার রাতের বেলায় আকাশযান থেকে গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছিল, যা বিকট শব্দে সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরিত হয়। কিন্তু রাতে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের অভ্যন্তরেও মিয়ানমার বাহিনীর ড্রোন দেখা যাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এলাকায়ও দেখা গেছে।

বিষয়টি স্বীকার করে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, শব্দহীন মিয়ানমার বাহিনীর আকাশযান ঘুরে বেড়াচ্ছে সীমান্ত এলাকাগুলোতে। মিয়ানমার বাহিনীর ড্রোনে খুব কাছ থেকে নিয়মিতই দৃশ্যধারণ এবং ছবি তোলা হচ্ছে তুমব্রু বাজারসহ আশপাশের এলাকার। লাল-নীল রঙের মিটমিট লাইট জ্বালা পাখির মতো উড়ন্ত যান থেকে ছবি তোলার শব্দগুলো স্থানীয়দের মাঝে নতুন শঙ্কার জন্ম দিচ্ছে। বিষয়টি বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করা হয়েছে। তবে সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে মোটামুটি ভালো।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি তিনিও শুনেছেন। যুদ্ধ বিমানের মতো অবিকল মিয়ানমার বাহিনীর শব্দহীন একটি আকাশযান সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ ভূখণ্ডের অভ্যন্তরেও মাঝে-মধ্যে রাতের বেলায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সবধরনের পদক্ষেপই গ্রহণ করবে সরকার।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *