রায়ের পর যা বললেন জি কে শামীম

নিউজ ডেস্ক:: অস্ত্র আইনের মামলায় সাবেক যুবলীগ নেতা ও বিতর্কিত ঠিকাদার এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন আদালত। তবে মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন জি কে শামীম।

রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলশান থানায় অস্ত্র আইনে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম রায়ে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

২০১৯ সালে জি কে শামীমকে গ্রেফতার করার পর এই প্রথম তার বিরুদ্ধে কোনো মামলার রায় হলো।

রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে তাকে পুলিশে পাহারায় কারাগারে নেওয়ার পথে সাংবাদিকরা জি কে শামীমের ছবি তুলছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, এ মামলা অবশ্যই ষড়যন্ত্র। একটি স্বার্থন্বেষী মহলের গভীর চক্রান্ত।’

এ সময় দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আর কোনো কথা বলতে নিষেধ করেন।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে তাদের আদালতে কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।

এর আগে, গত ২৮ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের এ দিন ধার্য করেন।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোগের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র্যাব। ওই ভবন থেকে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় অভিযান শেষে।

তখনই শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করে র্যাব।

এর মধ্যে অস্ত্র ও মুদ্রা পাচার মামলায় সবাইকে আসামি করা হলেও মাদক আইনের মামলায় শুধু শামীমকে আসামি দেখানো হয়। প্রত্যেক মামলাতেই তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত ছিলেন শামীম। র্যাব সদর দপ্তর, সচিবালয়ে ও কয়েকটি হাসপাতালের নতুন ভবনসহ অন্তত ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ ছিল শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্সের হাতে রয়েছে। এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *