খালেদা জিয়া হাসপাতালে

নিউজ ডেস্ক:: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর একটি হাসপাতালে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

সোমবার বিকাল ৩টা ৫৭ মিনিটে বাসা থেকে বের হয়ে ৪টা ৩৩ মিনিটে তিনি হাসপাতালে পৌঁছান। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান যুগান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গেছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে।

তিনি জানান, নির্ধারিত চেক-আপ করানোর পর আবার ফিরোজায় ফেরত আসবেন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

গত বছরের ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৫ অক্টোবর তার অস্ত্রোপচার করা হয়।

তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া। এর পর গত ৭ নভম্বের হাসপাতাল ছেড়ে গুলশানে নিজ বাসা ফিরোজায় উঠেন তিনি।

এর আগে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসা শেষে ১৯ জুন বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এর পর থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় ছিলেন তিনি।

খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। নানা শারীরিক জটিলতায় গত বছরের ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

একপর্যায়ে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন। ১৯ জুন বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পর ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন তিনি।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত তিন দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

তবে বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে এ মুক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ বলছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হলেও সরকার তা নাকচ করে দেয়। তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে বলে শর্তও দেওয়া হয়।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *