বিনোদন ডেস্ক:: বলিউডের ঝলমলে দুনিয়াকে হঠাৎ বিদায় দিয়ে ইসলামের পথে চলতে শুরু করেন বলিউপ অভিনেত্রী সানা খান। ২০২০ সালের অক্টোবরে ১৫ বছরের সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারের ইতি টানেন তিনি।
বিয়েরবন্ধনে আবদ্ধ হন গুজরাটের মুফতি আনাস সায়েদের সঙ্গে। সিনেমা ছাড়লেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় সানা। তবে নিয়মিত হাজির হন হিজাব পরে। ভক্ত-অনুরাগীদের দিতেন নানা ধর্মীয় বার্তা।
সব মিলিয়ে ধর্মেকর্মেই মন দিয়েছেন সাবেক এ অভিনেত্রী।
‘ওয়াজাহ তুম হো’, ‘জয় হো’সহ একাধিক বলিউড সিনেমায় অভিনয় করে সিনেপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন সানা। সালমান খানের বিগ বস ৬-এ জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন।
কিন্তু নাম, খ্যাতি, অর্থ এবং শোবিজ ছেড়ে কেন হঠাৎ করে ধর্মকর্মে আত্মনিয়োগ করেছেন সানা? —এ প্রশ্নের জবাব এবার দিয়েছেন মুম্বাইয়ের এ সাবেক তারকা।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে নতুন সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সানা। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, পার্থিব এসব যশ, খ্যাতি, অর্থ তাকে শান্তি এনে দিতে পারেনি। সেই শান্তি পেতেই শোবিজ ছেড়ে ধর্মে মনোযোগী হয়েছেন।
ওই ভিডিওবার্তায় সানা খান বলেছেন, ‘অতীত জীবনে খ্যাতি, নাম অর্থ সব ছিল আমার। কোনো কিছুর কমতি ছিল না, যা চেয়েছিলাম সব কিছুই করতে পারছিলাম। নিজেকে প্রশ্ন করতাম— সব কিছু পাওয়ার পরও কেন আমি খুশি নই? সময়টা খুব কঠিনভাবে যাচ্ছিল। হতাশায় দিন কাটত। এতসব কিছু থাকার পরও একটি জিনিসের অনুপস্থিত বোধ করছিলাম। সেটি হলো শান্তি। কোনো কিছুতেই সেই সময় হৃদয়ে শান্তি মিলছিল না। (এমন পরিস্থিতিতে) আল্লাহর বার্তা ও তার দিকনির্দেশনার অপেক্ষা করতাম।
এ সাবেক অভিনেত্রী জানান, ২০১৯ সালের রমজান মাসে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অসুস্থতার কারণে তখন মানসিক অবসাদে ভুগতেন।
সানা বলেন, ‘ওই রমজান মাসে আমি স্বপ্নে নিজেকে জ্বলন্ত কবরে জ্বলতে দেখতাম। আমি কবরে বারবার নিজেকে দেখেছি। এই স্বপ্ন আমার কাছে আল্লাহর কোনো বিশেষ বার্তা বলে মনে হয়। আমি অনুভব করি, আল্লাহ আমাকে যে চিহ্ন দিচ্ছেন তাতে যদি আমি নিজেকে পরিবর্তন না করি, তবে আমার পরিণতি এটিই হবে। আর এ বিষয়টিই আমাকে উদ্বিগ্ন করে ও ধর্মের পথে পরিচালিত করে। ’
সানা আরও জানান, এর পর শোবিজ ছেড়ে দেন এবং এক রাতে খুব সুন্দর কিছু পড়ছেন— এমন স্বপ্ন দেখেন।
সানা বলেন, ‘পরের দিন সকালে আমি জেগে উঠলাম এবং সেদিন ছিল আমার জন্মদিন। বাড়িতে আমার অনেক স্কার্ফ ছিল। আমি স্কার্ফ পরলাম এবং নিজেকে বললাম, এই স্কার্ফ আমি আর কখনো সরাব না।’
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস