মাছের কাঁটার সমস্যা সমাধানের যে রেসিপি দিলেন প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও)

নিউজ ডেস্ক:: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সরকার জনগণের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুষ্টি আসবে মাছ, ডিম, দুধ ও মাংস থেকে। শুধু আমরা নিজেরাই চাহিদা মেটাব না, আমরা এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশেও পাঠাতে পারব।

প্রধানমন্ত্রী রোববার সকালে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২’ উদযাপন এবং ‘জাতীয় মৎস্য পদক-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

মাছের নানা বৈচিত্রের কথা উল্লেখ করে সেটা প্রক্রিয়াজাত করে দিলে শুধু দেশের মানুষ নয়, প্রবাসীরাও নিজের দেশের মাছ গ্রহণ করতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ এবং এই মাছে ভাতে বাঙালি হিসেবেই যেন আমরা থাকতে পারি।

এ সময় তিনি মাছের কাঁটার সমস্যা সমাধানের একটি রেসিপি দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাছ প্রক্রিয়াজাত করে অক্ষত রেখে এর কাঁটা নরম করে ফেলে খাওয়ার উপযোগী করা যায় এবং এটা খুব বেশি কঠিন কাজ নয়। ঘরে ঘরেও এই পদক্ষেপ নেয়া যায়।

প্রেসার কুকারে একটু বেশিক্ষণ মাছ সিদ্ধ করলেও এর কাঁটা নরম হয়ে যায় এবং বাচ্চাদেরকেও খাওয়ানো যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি। নিজের পরিবারেও প্রধানমন্ত্রী এ রকম করেন বলে একটা রান্নার রেসিপিও দিয়ে দেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এ ধরনের ইন্ডাস্ট্রি যদি তৈরি করি এবং প্রেসার দিয়ে মাছ অক্ষত রেখে এর কাঁটা নরম করে যদি একে টিনজাত করতে পারি, প্রক্রিয়াজাত করে দেশে বিদেশে রপ্তানি করতে পারি পৃথিবীর বহু দেশ এই মাছ আমাদের দেশ থেকে আমদানি করবে। অথবা মাছের তৈরি বিভিন্ন পণ্য আমরা রপ্তানি করতে পারব।

তিনি বলেন, আমি মনে করি এক্ষেত্রে আমাদের তরুণ প্রজন্ম আরো এগিয়ে আসবে। এতে করে তাদের কর্মসংস্থান যেমন হবে এবং দেশের বেকারত্ব দূর হবে। আর সেই সাথে দেশও রপ্তানিযোগ্য পণ্য পাবে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাও মিটবে। সেভাবেই দেশকে আমরা আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব বলে বিশ্বাস করি।

এই মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণে আরো বেশি সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সমুদ্র সীমা থেকে আহরণ যোগ্য ‘সী উড’ (সমুদ্রের তলদেশীয় জলজ উদ্ভিদ) একটি মুল্যবান সম্পদ। এটা আমরা যত বেশি উৎপাদন করতে পারবো তত বেশি বিদেশেও রপ্তানি করতে পারবো এবং দেশেও এটার চাহিদা বাড়ছে। সেই সাথে শামুক ও ঝিনুক চাষের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এটাও একটি বড় রপ্তানি পণ্য হবার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে। কাজেই এদিকে একটু গুরুত্ব দেবেন।

শেক হাসিনা বলেন, এক সময় আমাদের মেঘনা নদীতে পিংক পার্ল (মুক্তা) হতো। সেটাও গবেষণা আমরা করছি। কিন্তু সেটাতে খুব বেশি সাফল্য আসছে না। সে দিকটা আরেকটু নজর দেয়া দরকার। যদিও আমাদের খুব বড় সাইজের (মুক্তা) আসে না, আমাদের ঝিনুক অনেক ছোট। কিন্তু আমাদের রাইস পার্ল যেটা- এটারও কিন্তু অনেক মূল্য আছে। এটা আমাদের খুব ভালো একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে। কাজেই সেদিকেও একটু দৃষ্টি দেবেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *