“চিঠির উত্তর দিসরে বন্ধু”যে গানে “মুজিব পরদেশী” ৯০ দশকে আবার গেয়েছেন দিলরুবা খান

নিউয়র্ক প্রতিনিধি-দিল ভ্রমরা:: গান মানুষকে যেমন মনকে উদ্বেলিত করতে পারে আবার মনকে নিরানন্দেও ভরিয়ে দেয় কখনো কখনো। মানুষের মন ও আবেগের ওপর গানের প্রভাব অনেক বেশি।

উক্ত গানের গীতিকার ও সুরকার- হাসান মতিউর রহমা প্রথম প্রচার হয়, ৯০ দশকে গেয়েছেন “মুজিব পরদেশী” ৯০ দশকে আবার গেয়েছেন দিলরুবা খান।

 

তাই পছন্দের কোনো গান শুনলে অতিসাধারণ একটি দিনও ভালো হয়ে যেতে পারে। যাঁরা গান শুনতে বা গাইতে পছন্দ করেন, তাঁদের গান ছাড়া যেন দিনই কাটে না। আবার কোনো কোনো গান একি সুর বা কথা যদি চুরি কিংবা কাটছিট করে নিজের নাম বসিয়ে চালিয়ে দেয় ঠিক তেমনি যারা নিয়োমিত গান শুনেন বা লেখেন তাদের কাছে তো ধরা পড়বেই।অনেক পূরোনো দিনের একটি গান নকল করে নিজের নামে চালিয়ে দেন এবং দিচ্ছেন।

“বিবেকের তাড়না থেকে আমার এই লেখা, কাউকে অপমান, অপদস্ত বা খাটো করার জন্য নয়”

মূল কথা আসাযাক,
সাম্প্রতিক কালে বেশ কিছু সংখ্যক গান লেখক যারা নামের আগে নির্দ্ধিধায় গীতিকার ও সুরকার লাগিয়ে নিজেকে জাহির করতে গিয়ে অন্য কোন সুরের উপর কথা বসিয়ে নিজেকে সুরকার হিসাবে দাবি করছেন, যা সত্যিই দুঃখ জনক ও বিব্রতকর,এ সব তথাকথিত গীতিকার – গান লেখক গন “সুরকার” শব্দের সঠিক অর্থ যে কি?

তা বোধগাম্য নয় বলেই এহেন উদ্ধত্যপূর্ণ ন্যাক্কার’জনক কাজ অহরহ করে যাচ্ছেন যা সত্যিই দৃষ্টিকটু।

যে কেউ একটি সুরের উপর গান লিখতেই পারেন এবং একজন শিল্পী তা পরিবেশন করতেও পারেন তবে মূল সুরের স্রষ্টাকে বাদ দিয়ে নিজের নামে নয়।সুর করা, সাধনার বিষয় গুরুমুখি বিদ্যা সেটা যদি না হতো তা হলে সবাই সত্যসাহা, আলাউদ্দীন আলী, রাহাত ফাতেহ আলী খান, এ আর রহমান, কিম্বা শেখসাদী খান হয়ে যেতাে।

কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গীতিকবি, সংগীত শিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক অনেক মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি বর্গ ও জাতীয় সম্পদ, উনাদেরকে আমি সর্বোচ্চ সম্মান করি,মাহান স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে আজোবধি দেশের সকল ক্রান্তি লগ্নে তাঁদের ভূমিকা অপরিসীম কিন্তু সাম্প্রতিক কালে তথাকতিথ সংগীত শিল্পী,গীতিকার, সংগীত পরিচালক বৃন্দের অপ্রত্যাশিত কার্যক্রম এবং সংগীত পরবেশনায় মাত্রতিরিক্ত অশালীনতার কারণে সংস্কৃতি অঙ্গনকে নিয়ে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যা সমাজ, দেশ ও জাতির জন্য সমুহ বিপদ’জনক অশনি সংকেতের আভাস বলে আমার ক্ষুদ্র ধরনা।

শত বছরের ঐতিহ্য বাংলা সংস্কৃতিকে এ ভাবে বিকৃত না করে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করা সকল সংস্কৃতি কর্মি দল মত নির্বিশেষে সামাজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবার জন্য নিজো নিজো যায়গা থেকে অসুস্থ সংস্কৃতি প্রচারনা থেকে বিরতো থাকি এবং শালীন ভাষায় প্রতিবাদ গড়ে তুলি এখনো সময় আছে এভাবে চলতে দিলে নিজের সাথে প্রতারনার সামিল।

আমার এই লেখার সত্যতা প্রমাণের জন্য নিচে একটি গানের অংশ বিশেষ যুক্ত করে দিলাম, এবং সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ সমস্ত শিল্পী সমাজের সম্মানার্থে এহেন কর্ম থেকে বিরত থাকুন, মনে রাখবেন টাকা দিয়ে পরিচিতি পাওয়া যায় কিন্তু সম্মান পাওয়া যায়না ‘সম্মান পাওয়া যায়, সৃস্টিশীলকর্মের মাধ্যমে।

আমি একজন নগন্য সংস্কৃতি কর্মি, এটা আমার দায়বদ্ধতা॥

তাই – চলবে……………….॥

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *