নিউজ ডেস্ক:: খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মোল্যা জুলকার নাঈম মুন্না ওরফে মারজান মুন্নাকে (৩৮) গুলি হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার রাত ৯টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
নিহত মুন্না সেনহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হালিম ও দৌলতপুরের ব্যবসায়ী হাজি শহীদ হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
এ ঘটনায় পুলিশ এক নারী ভিক্ষুককে (৪০) জিজ্ঞাসাবাদ করছে। নগরীর যশোর রোডস্থ মুজগুন্নি বাসষ্ট্যান্ডের পাশে দুই যুবক রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুন্নাকে গুলি করে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১ রাউন্ড তাজা গুলি এবং ২ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
জানা যায়, হত্যা মামলার আসামি হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন মুন্না । তিনি দিঘলিয়া উপজেলার সুগন্ধী গ্রামের সোহরাব মোল্যার ছেলে এবং সেনহাটি বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, মুজগুন্নি ও খালিশপুরে মুন্না তার এক আত্মীয়র বাড়িতে বসবাস করতেন। জমি ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। তার কোন ছেলেমেয়ে নেই। বিয়ে করলেও স্ত্রীর সঙ্গে কোন যোগাযোগ ছিল না।
কেএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মুন্নার নামে হত্যা মামলা ছিল। তিনি বুধবার রাতে মুজগুন্নি এলাকা থেকে যশোর রোডের বাসষ্ট্যান্ডের পাশে আসার সময় এক নারী ভিক্ষুক তার কাছে টাকা চান।
মুন্না ভিক্ষুককে ১০ টাকা ভিক্ষার দেওয়ার পরপরই পাশে থাকা দুর্বৃত্তরা মুন্নাকে লক্ষ্য করে ২ রাউন্ড গুলি করে। একটি গুলি মুন্নার মাথায় লাগে। গুলি করার পর পাশে থাকা মোটরসাইকেলে করে দুজন ২৫ বছরের যুবক দৌলতপুরের দিকে পালিয়ে যান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভিক্ষুককে হেফাজতে নিয়েছে।
মুন্নার কাছে ১টি ব্যাগ পাওয়া গেছে। তার মধ্যে দুটি ট্রাউজার, ১টি শার্টের পিস ছিল। এছাড়া ১টি চশমা ও ১টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। আসামিদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।