ভোটের গোপন কক্ষে পোলিং কর্মকর্তার উঁকি

নিউজ ডেস্ক:: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচন চলছে। সবগুলো কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়। শেষ হবে বিকাল ৪টায়।

দুপুর পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ হয়েছে। মেয়রপ্রার্থীরা টুকটাক অভিযোগ করলেও ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নিজামুল হক কায়সার ইভিএমে ভোটের গতি স্লো ও ইভিএমে ত্রুটি নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন।

তবে ভোটের দিন একটি ঘটনা তোলপাড় সৃষ্টি করেছে কুমিল্লায়। দৈয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মহিলা বুথে এক পোলিং কর্মকর্তাকে উঁকি দিতে দেখা গেছে। নাম পরিচয় জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা তা জানাননি।

ওই ব্যক্তি গণমাধ্যমকে বলেছেন, অনেকেই বয়স্ক ভোটার, যারা ভেতরে গিয়ে ভোট দিতে পারছেন না। তাদের নির্দেশনা দিয়ে সহযোগিতা করছেন। একজন ভোটার না বুঝে ভোট দিতে গিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় নিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে অর্ধেক বোর্ড কাস্টিং করা সম্ভব হবে না।

ভোটকেন্দ্রে পোলিং কর্মকর্তার উঁকি বিষয়ে ওই ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, গোপন কক্ষে এভাবে উঁকিঝুঁকি দেয়ার সুযোগ নেই। তবে ভিতরে গিয়ে কেউ না বুঝলে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সব প্রার্থীদের এজেন্ট রয়েছে।

দৈয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৫৪৩ জন। এখানে প্রথম দুই ঘণ্টায় ২০৮ টি ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। পাশের পুরুষ কেন্দ্রে ভোটারদের ভোট গ্রহণ হয়েছে ১৮১ টি। সেখানে ভোটার আছেন ১ হাজার ৫৮৫জন।

এক নজরে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন

ভোটগ্রহণের সময়: বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে ভোটগ্রহণ।
ভোটার: ২,২৯,৯২০ জন (পুরুষ ১,১২,৮২৬; নারী ১,১৭,০৯২ এবং হিজড়া ২)।
ওয়ার্ড: ২৭টি সাধারণ, ৯টি সংরক্ষিত।
ভোটকেন্দ্রে: ১০৫টি কেন্দ্রের ৬৪০টি ভোটকক্ষে হবে ভোটগ্রহণ।

প্রার্থী: মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা

প্রতি কেন্দ্রে থাকবেন ১৫-১৬ জন নিরাপত্তা সদস্য।

পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য নিয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স থাকবে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে।

প্রতি তিন ওয়ার্ডে একটি করে নয়টি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।

রিজার্ভ ফোর্স থাকবে দুটি।

র‌্যাবের ২৭টি টিম ও বিজিবির ১২ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ২৫ জন) সদস্য নিয়োজিত থাকবেন ভোটের মাঠে।

২৭ জন নির্বাহী হাকিম এবং ৯ জন বিচারিক হাকিম থাকবেন ভোটের মাঠে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *