‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জনসভায় ১০ লাখের বেশি মানুষের সমাগম হবে’

নিউজ ডেস্ক:: বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জনসভায় ১০ লাখের বেশি মানুষের সমাগম হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ১০ লক্ষাধিক লোক হলেও আমরা এখনো বলতে পারছি না কত লোক হবে? আমরা আশা করছি, বঙ্গবন্ধুকন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।

শুক্রবার ধানমণ্ডিতে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী জনসভা সফল করার লক্ষ্যে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি একথা বলেন।

নানক বলেন, আমাদের লক্ষ্য এবং প্রত্যাশা হলো- যে পদ্মা সেতু সব দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রনায়কোচিত পদক্ষেপের কারণে তার দৃঢ়তার কারণে, তার সততার কারণে বাঙালি জাতি একাত্তরের পর এই আরেকটি বিজয় অর্জন করছে বলে দেশের প্রায় ১৮ কোটি মানুষ বিশ্বাস করে। তাদের ভেতরে সেই আমেজ কাজ করছে, আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুকে উদ্বোধন ঘিরে।

‘কাজেই আমাদের লক্ষ্য ১০ লক্ষাধিক লোক হলেও আমরা এখনো বলতে পারছি না যে কারণে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষসহ সারা দেশের মানুষের কত জনসমগাম ঘটবে। এমনকি বাঙালি যারা বিদেশে বসবাস করেন, তারাও এই উদ্বোধনের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করার জন্য বিদেশ থেকেও চলে আসছেন।’

নানক বলেন, আমরা যদিও বলছি যে ১০ লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে। কিন্তু আমরা এখনো বুঝতে পারছি না এবং সেই কারণেই কিন্তু এই বৈঠকটি করা।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৫ জুন মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন শেষে জাজিরা প্রান্তের মরহুম ইলিয়াস আহমেদ ফেরিঘাট সংলগ্ন বিস্তীর্ণ পদ্মাপারে এই জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ বিষয়ে নানক বলেন, ‘আপনারা জানেন, মাননীয় নেত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দুই বছর কোভিড মোকাবিলা করেছেন।  কোভিড সময়ে তিনি স্বাস্থ্যবিধির কারণে জনসম্মুখে আসতে পারেননি তেমন। কাজেই দীর্ঘ দুই বছর পরে বঙ্গবন্ধুকন্যা জাতির উদ্দেশে জনসম্মুখে ভাষণ দেবেন। কাজেই এখানে কত লাখ লোক হবে, আমরা কিন্তু বুঝতে পারছি না। সেই কারণেই কিন্তু এই সংগঠনগুলোকে নিয়ে সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষা করার আলোচনা করতে হয়েছে। যে মানুষগুলো আসবে, কেউ লঞ্চে আসবে, কেউ বাসে আসবে, বিভিন্ন যানবাহনে আসবে, সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা।’

তিনি বলেন, ‘জুন মাস গরমের দিন, বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে আগতদের কেউ অসুস্থ হলে যেন তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করবে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আমরা ধারণা করেছি, ১০ লাখ লোকের সমাগম হবে। এটা হয়ত আরও বেশি হতে পারে, সেটা তো এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে আমাদের উদ্যোগ হলো এই বিশাল জনসভাকে সাফল্যমণ্ডিত করা।’

এর আগে নানকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীমসহ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *