নিউজ ডেস্ক:: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদকে গ্রেফতার করেছে সবুজবাগ থানা-পুলিশ। বৃহস্পতিবার র্যাবের দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মোরাদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার রাতে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জুবায়েরকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জুবায়েরকে সবুজবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) বীণা রানী দাস বলেন, বুধবার রাতে অভিযান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন জুবায়ের আহমেদের নেতৃত্বে দেড় থেকে দুই শতাধিক মানুষ। তারা র্যাবের অভিযানকারী দলের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ করে। তখন র্যাবের অভিযানকারী দল আত্মরক্ষার্থে ও সরকারি দায়িত্ব পালনের জন্য অবৈধ জনতার নেতৃত্বদানকারী জুবায়ের আহমেদকে গ্রেফতার করে। তাদের হামলায় র্যাবের ২ জন সদস্য আহত হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, বুধবার দিবাগত রাত ৩টায় ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহসভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায় ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড গুলি ও ৫৭৮ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়টি স্বীকার করেছেন সাঈদী।
এর আগে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সবুজবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদীকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছিলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী চালিয়ে আসছিলেন মো. সাঈদী হোসেন। র্যাব ৩-এর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের সময় তার কাছে অস্ত্র, গুলি ও মাদক পাওয়া গেছে।’
সাঈদী হোসেন এক সময় সবুজবাগ থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ‘চাঁদাবাজি, মাদক সম্পৃক্ততা ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ কারণে ২০১৯ সালে তাকে ওই পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়।
এরপর ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসে, সেখানে সাঈদী হোসেনকে মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতির পদ দেওয়ার কথা বলা হয়। তখন থেকে ওই পরিচয়েই কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন সাঈদী।