করোনা নিয়ন্ত্রণে এবার সেনা নামাল উত্তর কোরিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: উত্তর কোরিয়ায় ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জ্বর এবং করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা তিন লাখ ৯২ হাজার ৯২০।

সব মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত ১২ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে সব রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। খবর ডয়চে ভেলের।

গত বুধবার উত্তর কোরিয়ায় সরকারিভাবে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করার পর দেশজুড়ে লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দেশটিতে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কিম জং উন করোনা মোকাবিলার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলা করতে দেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ব্যর্থ হয়েছে।  সে কারণেই সেনাবাহিনীর মেডিকেল ইউনিটকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানী শহরের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে সেনাদের।

বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে জিরো কোভিড পলিসি নিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। দেশের সীমান্ত বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। দেশের ভেতরেও কঠোর নিয়ম চালু করা হয়েছিল। কিন্তু নিজেদের জনগণকে উত্তর কোরিয়া কোনো কোভিড-১৯ টিকা দেয়নি।

দক্ষিণ কোরিয়া একের পর এক করোনার ঢেউ দেখলেও উত্তর কোরিয়া বরাবরই জানিয়ে এসেছে, সেখানে করোনার সংক্রমণ ঘটেনি। গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া প্রথম জানায় যে, সেখানে একজনের শরীরে করোনার ভাইরাস পাওয়া গেছে।

তবে উত্তর কোরিয়ার সরকারি ভাষ্যে বুধবার প্রথমবারের মতো কোভিড রোগী শনাক্তের কথা বলা হলেও দেশটিতে অনেক দিন থেকেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।

চীনের তৈরি সিনোভ্যাক টিকা এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডোজ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও দেশটি উভয়ই প্রত্যাখ্যান করেছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশটিতে লকডাউন জারি করা হয়। এদিনই করোনায় দেশটিকে ৬ জন মারা যান।  শুক্রবার করোনার উপসর্গ নিয়ে নতুন করে আরও ২১ জন মারা যান বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। শনিবার মারা গেছে আরও ১৫ জন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *