‘আমরা ঘরে বসে থাকলেও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় যেতে পারবেন না’

শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন।  তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আমরা আপনাকে (শেখ হাসিনা) বিশ্বাস করেছিলাম। আপনি বললেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা। আপনারা আমার সঙ্গে আসেন। আলোচনা করে দেশে কীভাবে একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা যায়।’ আমরা বিশ্বাস করে আপনার অফিসে গেলাম। আপনি এমনভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন যে দিনের ভোট রাতে করলেন।’

আহসান হাবিবের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি লিংকনকে বলব, যারা শেখ হাসিনার কথা বিশ্বাস করে, তারা মানুষ না।’

তিনি বলেন, ‘প্রাসাদ ষড়যন্ত্র কি যারা প্রাসাদের মধ্যে থাকে তাদের মধ্যেই হয়? প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আমরা কেউ অংশগ্রহণ করছি কি না?’

গয়েশ্বর বলেন, ‘আন্দোলন করলাম দিনের বেলায়। আর রাতের বেলায় তার সঙ্গে বৈঠক করলাম। আসন ভাগাভাগি করলাম। আমার মামলাটা একটু দেখবেন। এসব কথাবার্তা যদি চালাচালি করেন রাতের অন্ধকারে বসে, তাহলে সাধারণ নেতাকর্মী বুঝবে না।’

‘বিএনপি আন্দোলন করবে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই’ উল্লেখ করে দলটির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘আন্দোলন করার লোকের কোনো অভাব নেই। আন্দোলনকে ভন্ডুল করার জন্য অনেক লোকের দরকার নেই। সেই লোকগুলো আমাদের আশপাশে আছে। সেই লোকদের গোপন, আড়ে কথাবার্তা চলছে কি না। কার কাছে শেখ হাসিনা কথা দিয়েছিলেন ৬০-৭০টা আসন দেবেন? সেই লোকটা কে?’

বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন নিয়ে সরকার ভীত না বলেও মনে করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘কারণ আন্দোলনকে দমন করার জন্য সরকারের বিভিন্ন বাহিনী রয়েছে। শেখ হাসিনা বেকায়দায় আছেন সারা বিশ্বে তার প্রতারণা, দুর্নীতি, তার ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র পরিচালনা, গুম, খুন, বিনা বিচারে হত্যা নিয়ে।’

নিরপেক্ষ সরকারের পাশাপাশি সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।তিনি আরও বলেন, ‘জোবাইদা রহমান এখন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয় দেখাশোনা করছেন। তিনি চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করছেন। হার্টের রোগ কীভাবে হবে না, যেসব কাজ করলে হার্টের রোগ হবে না- এটা নিয়ে জোবাইদা গবেষণা করছেন। তিনি একান্তই রাজনীতির বাইরে। তার এখন রাজনীতি নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নাই। তার রাজনীতিতে আসার ইচ্ছাও নাই। তাদের জন্মসূত্রেই পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। তারা স্বাধীনতার আগ থেকেই সম্পদশালী ও ক্ষমতাবান। ১৯৫৫ সালের পরে তারা ঢাকা বা সিলেটে কোনো জমি কিনেছেন এমন রেকর্ড নাই। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা দেওয়া শুধুমাত্র হয়রানির জন্য। আর কিছু নয়।’

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *