সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: সিরাজগঞ্জের একটি আদালতে স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে মামলা করেছেন এক স্কুলশিক্ষক। এনায়েতপুরের বাসিন্দা ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে বুধবার এ মামলা করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমনজারি করেছেন। আগামী ২৮ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষে শিক্ষকতা শুরু করেন ইব্রাহিম হোসেন। দুই বছর আগে তিনি শাহজাদপুর উপজেলার শুকুর মাহমুদের মেয়ে শিক্ষিকা ফরিদা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই ফরিদা স্বামীর ওপর নানাভাবে হয়রানি ও চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন। একই সঙ্গে ইব্রাহিমের বৃদ্ধ বাবা-মাকে ছেড়ে নতুন বাসায় উঠতে ও তার বেতনের সব টাকা নিজের কাছে রাখতে প্রতিনিয়তই চাপ দিত। এ প্রস্তাব না মানায় সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করতেন ফরিদা।
এ অবস্থায় আট মাস আগে ফরিদা স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান। কিছু দিন পর স্বামীকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে দেনমোহর ছাড়াও আরও বাড়তি পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। দাবি করা টাকা না পেলে ইব্রাহিমকে নারী নির্যাতনের মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ সংসার না করার হুমকি দেওয়া হয়। এ পরিস্থিতিতে আদালতের দ্বারস্থ হন ইব্রাহিম হোসেন।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিখিলেশ কুমার ঘোষ বলেন, যৌতুকবিরোধী আইনে উভয়পক্ষেরই মামলা করার অধিকার রয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার আশা করছি।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতের এপিপি এসএম দ্বীন আমিন বলেন, যৌতুকের অধিকাংশ মামলাতেই পুরুষরা হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। এ আইনে শুধু নারীরা নয়, পুরুষের সঙ্গে অন্যায় হলে সেও প্রতিকার পাবেন। ২০১৮ সালের যৌতুক আইনের ৩নং ধারা অনুযায়ী বিবাহের নিকাহনামা বাদে, যে কোনো পক্ষেরই যৌতুক দাবি করা অন্যায়।