সাবেক মেয়র কামরানের বাসায় হামলা-ভাঙচুর,যা বলছেন ছেলে শিপলু

সিলেট নিউজ টাইমস্  ডেস্ক:: সিলেট নগরীর ছড়ারপার ও মাছিপুরবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষের সময় সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বাসভবনে হামলা করে বাসার গ্লাস ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে কয়েক রাউন্ড গুলিও হয়েছে। ইটপাটকেল নিক্ষেপে কয়েকজন আহত হয়েছেন।

বুধবার (৬ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টার দিকে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান করছে এবং পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে ছড়ারপাড় ও মাছিমপুরের দুই যুবকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়া হয়। এর জের ধরে বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে মাছিমপুরের একদল সন্ত্রাসী ছড়ারপাড়ে এসে হামলা চালায়। এসময় তারা সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বাসার জানালা ও সামনে রাখা গাড়ি ভাঙচুর করে।

অপরদিকে, মাছিমপুরের লোকজনের নিক্ষেপ করা ইটপাটকেলে ছড়ারপাড়ের কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, রাস্তার জায়গা নিয়ে কয়েকদিন ধরে ছড়ারপাড় ও মাছিমপুরের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এ নিয়ে মঙ্গলবার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। কিন্তু বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি। এর জের ধরে বুধবার উভয় পাড়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

তবে পুলিশ বলছে, ওই এলাকায় ড্রেনের ময়লা ময়রা পরিস্কার করা হচ্ছে। রাস্তায় ময়লা রাখা নিয়ে দুদিন আগে ছড়ারপার ও মাছিপুরবাসীর মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরই জের ধরে বুধবারা রাতে দু’পাড়ার বাসিন্দাদের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে।

কোনো গুলাগুলির ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করছে পুলিশ।

এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত মো. ইয়াসিন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনো গুলাগুলির ঘটনা ঘটেনি কিংবা গুরুতর আহতের ঘটনা ঘটেনি। ইট-পাটকেল নিক্ষেপে দুপক্ষের ৮-১০ জন সামান্য আহত হয়েছেন।

এদিকে, হামলার পর সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তারাবিহের নামাজে ছিলাম। মারামারির খবর শুনে মসজিদ থেকে বেরিয়েছি- কিন্তু আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের বাসায় হামলা করা হয়েছে। ঘটনাটি খুব নিন্দনীয় ও মর্মান্তিক।

তিনি বলেন, হামলাকারীরা পাশের পাড়ার। সকলকেই তো চিনি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *