ওডেসাকে বাঁচাতে যুক্তরাজ্যের নয়া পরিকল্পনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: ইউক্রেনে হামলার মোড় ঘুরিয়ে নিয়েছে রুশ বাহিনী। রাজধানীর কিয়েভ ও এর আশপাশ ছেড়ে এবার দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সংগঠিত হচ্ছে। সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ বাড়ছে। বিমানের উপস্থিতিও উল্লেখযোগ্য। রুশ যুদ্ধজাহাজগুলো কৃষ্ণ সাগরে টহল দিচ্ছে। ইউক্রেনের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী ওডেসায় চলছে রাশিয়ার বোমা হামলা।

এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য সরকার রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজ ডুবিয়ে দিতে ইউক্রেনকে জাহাজ-বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে চায় বলে দ্য সানডে টাইমসের বরাত দিয়ে রোববার বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের এই পরিকল্পনাকে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতি পশ্চিমের প্রতিক্রিয়ায় ‘মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া’ অংশ হিসাবে অভিহিত করেছে দ্য সানডে টাইমস।

দ্য সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মন্ত্রীদের বলেছেন, তিনি রাশিয়ান বাহিনীকে ওডেসায় অগ্রসর হতে বাধা দিতে অস্ত্র সরবরাহ করতে চান।

স্থানীয় সময় রোববার সকাল থেকে রাশিয়ার মিসাইল ওই বন্দর নগরীকে আঘাত হানা শুরু করে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ওডেসায় থাকা ওয়াশিংটন পোস্টের সংবাদদাতা ইসাবেল খুরশুদিয়ান টুইট করে বলেছেন, এখন ওডেসার কেন্দ্রস্থলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটেছে। আমার হোটেলের জানালাগুলো কেঁপে উঠল। তবে সেটি কী ছিল, তা স্পষ্ট নয়।

ওডেসা এখন একটি আসন্ন আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাসিন্দারা সরে গেছেন এবং ক্যাফে ও ট্রামগুলো খালি হয়ে গেছে। কারণ রাস্তাগুলো রুশ ট্যাঙ্কের দখলে চলে গেছে। এছাড়া বিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভটি ঘিরে রাখা হয়েছে প্রতিরক্ষামূলক বালির ব্যাগে।

তবে বিবিসির অ্যান্ড্রু হার্ডিং গত সপ্তাহে রিপোর্ট করেছেন, বিমান হামলার সাইরেন, প্রতিবেশীদের সতর্ককতা, রাশিয়ার হামলার আশঙ্কা সত্ত্বেও শহরটি সতর্কতার সঙ্গে পুনরায় সব খুলতে শুরু করেছে।

এই আস্থা আংশিকভাবে কৃষ্ণ সাগর উপকূলে রাশিয়ার স্থবির অগ্রগতির ফলাফল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলছেন, ওডেসা কতটা প্রস্তুত? তিনি সতর্ক বার্তা দিয়ে বলেন, রুশ বাহিনী এখন দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল দখলের দিকে মনোনিবেশ করেছে।

এদিকে রাজধানী কিয়েভের আশপাশের এলাকাগুলো রুশ সেনাদের কাছ থেকে পুনরায় নিজেদের দখলে নেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার হামলা শুরুর পর শনিবার এই প্রথম কিয়েভ ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল পুরো নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি উঠল।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *