অস্ত্রোপচারের আগে ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে যা বললেন একরাম

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য বর্তমানে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে আছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। সেখানে আজ তার হার্টে অস্ত্রোপচারের কথা রয়েছে।

অস্ত্রোপচারের আগে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে কথা বলেন।

১৮ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের লাইভে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, কাদের ভাই, আমি আপনাকে বাবার পর স্থান দিয়েছিলাম। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বড় নেতারা আমাকে বলেছিল হারিয়ে দাও। কিন্তু আলাউদ্দিন নাছিম আমাকে বলেছেন— একরাম ভাই, যদি এই একটি আসনের জন্য আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে না পারে! আমার ইউনিয়নের ভোট নিয়ে ১ হাজার ১০০ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন কাদের ভাই। সেই কাদের ভাই তার ভাইকে (কাদের মির্জা) আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছেন।

একরাম চৌধুরী বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনাকে আমি ঘৃণা জানাই। আপনি বিচার করতে জানেন না। আপনার স্ত্রী সম্পর্কে যে ভাই কটূক্তি করে, এসবে আমার দুঃখ লাগে। আপনি কন্ট্রোল করতে না পারলে আমাকে একদিনের জন্য দিন।

ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে একরামুল করিম চৌধুরী আরও বলেন, কাদের ভাই, নোয়াখালী আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বাঁচান। আপনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনেক ক্ষতি করে যাচ্ছেন। যে ক্ষতি আওয়ামী লীগ পুষিয়ে নিতে অনেক কষ্ট হবে।

একরামুল করিম চৌধুরী আরও বলেন, নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুকে আমি ফোন দিয়ে কিছু আজেবাজে কথা বলেছি। সে আমার ছোটবেলার বন্ধু। এসব কথা বলার কারণে আমার স্ত্রী আমাকে বলেছে— আমার চেহারা দেখার থেকে মৃত্যুর চেহারা দেখা অনেক ভালো। এতে আমি খুবই ব্যথিত হয়েছি।

এ সময় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে উদ্দেশ করে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আমি বলেছি—রাজাকার পরিবারের সন্তান। এতে করে আমার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিহাস বদলানো যাবে না। আপনার বাবা তিনজন মুক্তি বাহিনীর সদস্যকে চেনে না বলায় পাঞ্জাবিরা গুলি করে মেরে ফেলেছে। মির্জা নিজেও বলেছেন তার বাবা ও জেঠা রাজাকার ছিল। যুদ্ধের সময় মানুষের গাভী চুরি করে নিয়েছে। অথচ আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি— আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

একরামুল করিম চৌধুরী আরও বলেন, আজ বিকালে আমার হার্টের অপারেশন। তাই বাঁচতেও পারি, মরে যেতেও পারি। মনের আবেগ থেকে কিছু কথা বলেছি। যদি বেঁচে ফিরি তা হলে আমার সদর-সুবর্ণচরের মানুষের সেবা করে যাব। আর যদি মরে যাই, তা হলে আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *