রাজাকারের সন্তানদের সরকারি চাকরি না পাওয়ার আইন নাই: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, দেশে যুদ্ধাপরাধীদের নতুন তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে না। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কেউ আদালতের দারস্থ হতে পারে। রাজাকারের সন্তানেরা রাষ্ট্রীয় সুবিধা বা সরকারি চাকরি পাবে না, এ মুহূর্তে এমন কোনো আইন দেশে নাই। জনগণ চাইলে ভবিষ্যতে এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যুদ্ধাপরাধী বা স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তানদের সরকারি চাকরি ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বিরত রাখার নজির রয়েছে।

বুধবার এফডিসিতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। উদ্বোধনী প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল বাংলাদেশ স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পৃষ্ঠপোষকতায় স্বাধীনতা দিবস বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

মোজাম্মেল হক বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তন হতে হবে ব্যালটের মাধ্যমে। ব্যালটের মাধ্যমে পরিবর্তনই হলো গণতন্ত্র। একটি জাতি তখনি সভ্য ও গণতান্ত্রিক বলে বিশ্বে পরিচিত হয়, যখন তারা পরমতসহিষ্ণু হতে পারে। আমাদের বর্তমান বাস্তবতা হলো আমরা কেউ কারো মুখ দেখতে চাই না, আলোচনায় বসতে চাই না। অথচ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সামরিক শাসক আইয়ূব খানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দুর্নীতি আমাদের অগ্রযাত্রার সবচেয়ে বড় বাধা। নারীমুক্তি, নারীর ক্ষমতায়ন, ধর্ম ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করাসহ দুর্নীতিকে রুখে দেওয়া আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। অপরাধীকে সর্বক্ষেত্রেই দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে অপরাধী হিসেবে দেখতে হবে। কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতাই একটি জাতিকে প্রকৃত মুক্তি দিতে পারে না, তার সঙ্গে অর্থনেতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি স্বাধীনতাকে পরিপূর্ণ অর্থবহ করতে পারে। স্বাধীনতা অর্থহীন হবে যদি মানুষের অর্থনীতি মুক্তি না হয়।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজকে পরাজিত করে বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।

প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক ড. শাকিলা জেসমিন, ড. মোহাম্মদ শাহ আলম চৌধুরী ও সাংবাদিক পার্থ সঞ্জয়।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *