সুচরিতার সেই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন নিপুণ

এসব ছেড়ে নিপুণকে অভিনয়ে মনযোগী হতে পরামর্শ দেন ‘হাঙর নদীর গ্রেনেড’ খ্যাত তারকা। এছাড়াও নিপুণকে তার সম্মান বজায় রেখে চলতে বলেন সুচরিতা।

নিপুণকে নিয়ে এসব মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের শিকার হন সুচরিতা।

তবে সিনিয়র অভিনেত্রীর এসব মন্তব্যে মন খারাপ করেননি জানিয়ে তাকে কটাক্ষ না করতে অনুরোধ করেন নিপুণ।

সুচরিতার পক্ষ নিয়ে নিপুণ বলেন, ‘সুচরিতা আপাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে অনেক তথ্য দেখছি। অনেকে তাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করছেন। প্লিজ, আপনারা এটা করবেন না৷ তিনি আমার সিনিয়র। রাগের মাথায় আমাকে নিয়ে কিছু বলতেই পারেন। এসব নিয়ে আমার কোনো রাগ বা অভিমান নেই।’

রোববার সন্ধ্যায় এফডিসিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার।

নিপুণ বলেন, ‘সুচরিতা আপাকে নিয়ে প্লিজ কেউ বাজে কথা লিখবেন না। তিনি আমার মায়ের মতো। আমার প্রথম সিনেমায় তিনি ছিলেন মা। আমি তখন নতুন। তিনি,রাজ্জাক আংকেলরা সেই ছবিতে আমাকে সাপোর্ট দিয়েছেন বলেই আমি আজ শিল্পী, নিপুণ।আমার ক্যারিয়ারে কিছু মানুষের অবদান আছে। যাদের নিয়ে আমি কখনোই খারাপ কিছু ভাবি না, বলতে চাই না। সুচরিতা আপা, রুবেল ভাই, মান্না ভাই তাদের অন্যতম। রুবেল ভাই আমার প্রথম সিনেমার নায়ক। সেই ছবিটা রিলিজ হয়নি। কিন্তু আমি একটা নতুন মেয়ে। আমাকে যে সাপোর্ট তিনি দিয়েছিলেন সেটা তো অস্বীকার করা যায় না।’

এরপর প্রয়াত নায়ক মান্নার প্রসঙ্গ টানেন নিপুণ।

বলেন, ‘মান্না ভাইয়ের সঙ্গে আমার প্রথম হিট সিনেমা। আজ তিনি থাকলে হয়তো আমাকে বকা দিয়ে দুটো কথা বলতেন। আমার তাতে কষ্ট পাওয়ার কিছু নাই। আমি শিল্পীদের জন্য লড়াই করছি। আমার যে যুদ্ধ তা অশিল্পীদের বিরুদ্ধে। বাজে সিস্টেমের বিরুদ্ধে। সুচরিতা আপা একটি প্যানেলের হয়ে নির্বাচনে এসেছেন। তিনি যা বলেছেন তা স্বাভাবিক। আপনারে তাকে নিয়ে বাজে কিছু লিখবেন না।’

উল্লেখ্য, জায়েদ খান হাইকোর্টের রায়ের পর গত বুধবার বিকালে এফডিসিতে যান সুচরিতা। তবে সমিতির দরজায় তালা লাগানো থাকায় ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি তিনি। এতে  নিপুণের উপর ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি।

সাংবাদিকদের সামনেই বলেন, ‘আমি শিল্পী সমিতির বাইরে বসে থাকব? নিপুণ বলে শিল্পীদের সেবা করবে! আমি শিল্পী না? অরুণা বিশ্বাস শিল্পী না? জায়েদ শিল্পী না? কী অসভ্যতা? আমরা অসভ্য হয়ে গেছি শিল্পীরা! শিল্প সৃষ্টি করব কীভাবে আপনারা বলেন।’

নিপুণকে পরামর্শ দেন সুচরিতা।  বলেন, ‘বড় বোনের আবদার নিয়ে বলি— এসব না করে তুমি নিজেকে নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করো। দুবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছ। সেই সম্মানটা রাখো। অভিনয়ের চর্চাটা করো। অভিনয় ছেড়ে এসব করে কী লাভ?’

সুচরিতার এসব বক্তব্য ভাইরাল হলে অনেক তার সমালোচনা করেন।  দুই বারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত জুনিয়র অভিনেত্রীকে নিয়ে এমন নেতিবাচক মন্তব্য করা ঠিক নয় বলে মনে করেন কেউ কেউ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *