যুদ্ধজাহাজ-রণতরী নিয়ে প্রস্তুত ন্যাটো

এদিকে ন্যাটোর এই কর্মকাণ্ড ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ইউক্রেনে রাশিয়া কোনো ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপ করলে পশ্চিমা বিশ্বও আগ্রাসী জবাব দিতে প্রস্তুত। তবে ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর কোনো ইচ্ছা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে রাশিয়া।

ন্যাটোতে যোগ দেওয়া মিত্র বাহিনীকে স্বাগত জানিয়ে পশ্চিমা সামরিক জোটের মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ এক বিবৃতিতে বলেন, ন্যাটো জোটের পূর্বাঞ্চলীয় অংশকে শক্তিশালী করাসহ ন্যাটোর মিত্রদের রক্ষা ও রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ চালিয়ে যাবে।

এদিকে, ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েনের খবর সামনে আসার পর যেকোনো সময় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কায় ইউক্রেনের অবস্থিত দূতাবাস থেকে কর্মী সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

ইউক্রেনের ন্যাটো বাহিনীতে যোগদান নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা শুরু হয়। ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের জন্য দেওয়া অঙ্গীকার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে যাচ্ছে রাশিয়া।

ইউক্রেনের সঙ্গে ৪ হাজার মাইলেরও বেশি সীমান্তজুড়েই সেনা মোতায়েন করেছে মস্কো। যুদ্ধ ট্যাঙ্ক, সেনাদল আর অন্যান্য সামরিক যান নিয়ে ভূমধ্যসাগরের দিক থেকে এগিয়ে আসছে ছয়টি রুশ যুদ্ধজাহাজ। প্রস্তুত রয়েছে শত শত যুদ্ধবিমানও। এখন শুধু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের অপেক্ষা মাত্র। সংকেত পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী। সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকাতে পুরোপুরি প্রস্তুত ইউক্রেনও। এদিকে মস্কোর বিরুদ্ধে আবারও কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে পশ্চিম। বলেছে, হামলা চালানোর কয়েক দিনের মধ্যেই রাশিয়ার ওপর সম্মিলিতভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।

পিছিয়ে নেই ইউক্রেনও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা বাড়িয়েছে। গত সপ্তাহেই ব্রিটেন ২ হাজারের বেশি পরবর্তী প্রজন্মের হালকা অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক লঞ্চার পাঠিয়েছে এবং প্রশিক্ষক হিসাবে একটি নতুন রেঞ্জার রেজিমেন্ট থেকে প্রায় আড়াই ডজন সেনা পাঠিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ এস্তোনিয়া বলেছে, তারা ইউক্রেনকে জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল দিবে। আর স্টিংগার অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল পাঠাবে লিথুয়ানিয়া এবং লাটভিয়া। নেদারল্যান্ডসও জানিয়েছে তারা ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহ করতে প্রস্তুত। কিয়েভের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনো রাশিয়ান অনুপ্রবেশ ইউক্রেনের ব্যাপক প্রতিরোধের মুখোমুখি হবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *