দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ কাজাখস্তানে

টিভিতে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট কাশেম-জোমার্ট তোকায়েভ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের নির্মূল করা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সন্ত্রাস বিরোধী অপারেশন চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তোকায়েভ।

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা আন্দোলনে অনেক মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন সাধারণ জনগণ ও পুলিশ।

তিন দশক আগে স্বাধীনতা অর্জন করে কাজাখস্তান। স্বাধীনতা পাওয়ার পর দেশটিতে সবচেয়ে বড় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে। শুক্রবার নতুন করে সবচেয়ে বড় শহর আলমাতিতে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। যেখানে বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে সরকারবিরোধী আন্দোলন বেশ বিরল। কিন্তু জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে জনগণ রাস্তায় নামে। যা পরবর্তীতে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। এর জেরে প্রেসিডেন্ট সংসদ ভেঙে দেন।

কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্টের অনুরোধের পর রাশিয়া তাদের প্যারাট্রুপার বাহিনী পাঠিয়েছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

এদিকে কাজাখস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেকে বিস্মিত হয়েছেন। কিন্তু এই বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে এ ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, শুধু জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে এটি হচ্ছে না।

এই আন্দোলনের কারণে কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে কাজাখস্তান। দেশটিতে ব্যাংকসহ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *