হলি ফ্যামিলি মেডিকেল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

সিলেট নিউজ টাইমস্  ডেস্ক:: রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির এইচএফ-১৬ ব্যাচের এক ছাত্রী ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছেন।

ওই ছাত্রীর অভিযোগ, শিক্ষক ডা. সালাউদ্দিন বিভিন্নভাবে তাকে ‘কুপ্রস্তাব’ দিয়েছেন এবং আলাদাভাবে দেখা করতে বলেছেন। এতে রাজি না হওয়ায় নানাভাবে হুমকি প্রদান করেছেন। তবে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি অভিযুক্ত শিক্ষক।

ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। এর আগের দিন তিনি উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, ডা. সালাউদ্দিন ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে ‘কুপ্রস্তাব’ দিতে থাকেন। কলেজের পড়া দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা নেন। এরপর পড়ানোর জন্য বাসায় যেতে বলেন। এতে রাজি না হয়ে তাকে এড়িয়ে যাওয়া শুরু করলে ফোনে ও ম্যাসেঞ্জারে নক দেন এবং কলেজে ডেকে বিব্রত করা শুরু করেন শিক্ষক সালাউদ্দিন।

পরবর্তী ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রী যুগান্তরকে বলেন, দীর্ঘদিন পরিবার ও নিজের মান-সম্মানের ভয়ে চুপ ছিলাম। কিন্তু দিন দিন অবস্থা খারাপই হচ্ছে। তাই এখন সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার কথা বললে তিনি গত ২২ ডিসেম্বর আমাকে কলেজ থেকে বিতাড়িত করার ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। তার জন্য আমার কলেজে পড়ালেখা চরম হুমকির মুখে। আমি এর প্রতিকার চাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে যেহেতু অভিযোগ এসেছে এবং অফিশিয়ালি দেখা হচ্ছে, তাই আপাতত এটা নিয়ে কথা বলা নিষেধ’।

অভিযোগের সত্যতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একজন অভিযোগ দিলেই তো সেটা সত্য হয়ে গেল না। এখানে তো আমারও বক্তব্য থাকতেই পারে, তাই না?’

বক্তব্য কী- জানতে চাইলে ডা. সালাউদ্দিন বলেন, ‘যেটা বললাম সেটাই’।

হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. দৌলতুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, ‘গত ২৩ ডিসেম্বর দুপুরের পর আমরা অভিযোগটি পেয়েছি। এরপর দুইদিন বন্ধ ছিল। রোববার সকালেই এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে সরকার নির্দেশিত যে যৌন নিপীড়নবিরোধী কমিটি রয়েছে, তারা অভিযোগটির বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে’।

জিডির বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস যুগান্তরকে বলেন, ‘ছাত্রী জিডি করার পর কোর্টে তদন্তের অনুমতির জন্য পাঠানো হয়েছে। কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *