স্পোর্টস ডেস্ক:: চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনটা বাংলাদেশের হলেও দ্বিতীয় দিনে পুরোপুরি ব্যর্থ টাইগাররা। দ্বিতীয় দিনে ৭৭ রান করতেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শনিবার ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়া বাংলাদেশ দল বোলিংয়েও ভালো করতে পারেনি। দিনের তিন সেশনের পুরো দুই সেশন বোলিং করেও পারেনি পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ভাঙতে।
আবিদ আলী ও আব্দুল্লাহ শফিকের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় দিনে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৪৫ রান করে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ৯৩ ও ৫২ রানে অপরাজিত আছেন আবিদ আলী ও আব্দুল্লাহ শফিক।
শুক্রবার প্রথম দিনের শুরুতে ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ খেলায় ফেরে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে। এই জুটিতে শুক্রবার ২০৪ রান যোগ করেন তারা।
শনিবার দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে যান আগের দিনে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া লিটন কুমার দাস। শনিবার দ্বিতীয় দিনে মাত্র ১ রান সংগ্রহ করেই আউট হন লিটন। তার আগে পঞ্চম উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে গড়েন ২০৬ রানের জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ১১টি চার ও এক ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ১১৪ রান করে ফেরেন লিটন।
লিটন আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় দিনের সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো ব্যাটসম্যান বেশি সময় স্থায়ী হতে পারেননি। ১৯ বলে মাত্র ৪ রানে ফেরেন ইয়াসির আলী।
আগের দিনে ৮২ রান করে সেঞ্চুরির পথে থাকা মুশফিকুর রহিম ফেরেন ৯ রানের আক্ষেপ নিয়ে। নার্ভাস নাইনটিতে গিয়ে আউট হন তিনি। তার আগে ১১টি চারের সাহায্যে ৯১ রান করে ফেরেন মুশফিক।
মুশফিক আউট হওয়ার পর বেশ কিছু সময় ধরেই উইকেটের এক পাশ আগলে রাখেন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী ও এবাদত হোসেনরা।
তাইজুলের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ২৮ রান আর আবু জায়েদ রাহীর সঙ্গে নবম উইকেটে ২৬ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। সবার শেষে ব্যাটিংয়ে নেমে গোল্ডেন ডাক পান এবাদত হোসেন। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৩৩০ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ৬৮ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ১১৪.৪ ওভারে ৩৩০/১০ (লিটন দাস ১১৪, মুশফিকুর রহিম ৯১, মেহেদি হাসান মিরাজ ৩৮*, সাদমান ইসলাম ১৪, সাইফ হাসান ১৪, নাজমুল হোসেন শান্ত ১৪, তাইজুল ইসলাম ১১, মুমিনুল হক ৬; হাসান আলী ৫/৫১)।
পাকিস্তান: ৫৭ ওভারে ১৪৫/০ রান (আবিদ আলী ৯৩*, আব্দুল্লাহ শফিক ৫২*)