হবিগঞ্জের লাখাইয়ে হাওরে নৌকা ভ্রমনে করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার নববধূ!

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার টিক্কাপুর হাওরে নৌকা ভ্রমন করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক নববধূ। এসময় ধর্ষণকারীদের হামলায় ওই নববধূর স্বামী রাকিব আহমেদ ও তার বন্ধু রকিব মিয়া গুরুতর আহত হয়েছে। এছাড়াও গণধর্ষণের ঘটনা ভিডিও ধারণ করে রেখেছে ধর্ষণকারীরা। এঘটনায় কাউকে জানালে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে নববধূ ও তার স্বামীকে। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে বুধবার রাতে এমনই বর্ণনা দেন নির্যাতিতা গৃহবধু ও তার স্বামী রাকিব আহমেদ। রাকিব আহমদে উপজেলার মোড়াকড়ি গ্রামের বাসিন্দা সে।

রাকিব আহমেদ কাছে জানা যায় , প্রায় মাসখানেক পুর্বে পারিবারিক ভাবে তিনি বিয়ে করেন একই গ্রামের জনৈক এক মেয়েকে। বিয়ের একদিনের মাথায় তিনি কাজের সুবাধে চলে যান ঢাকায়। ক’দিন আগে তিনি ফের বাড়ি ফিরেন। এরপর গত ২৫ আগস্ট দুপুরে তিনি তার স্ত্রী ও বন্ধু রকিব মিয়াকে নিয়ে হাওরে নৌকা ভ্রমনে যান। ভ্রমনের এক পর্যায়ে একই গ্রামের (আমাদের গ্রামের) মুছা মিয়া, সুজাত মিয়া, হৃদয় মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া ও জুয়েল মিয়াসহ ৫/৬ জন যুবক নৌকাযোগে এসে তাদের গতিরোধ করে। পরে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে ও তার বন্ধুকে মারধোর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার নববধূকে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

রাকিব আহমেদ বলেন, তারা ধর্ষণকারীরা এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। পরে তারা ঘটনাটি কাউকে না জানাতে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এবং বিষয়টি জানাজানি হলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। তিনি বলেন, বাড়িতে আসার পর বিষয়টি লোকলজ্জার ভয়ে ও ধর্ষণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কাউকে জানাননি। তবুও গত ক’দিন যাবত লম্পটরা ওই ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। এক পর্যায়ে ভিডিওটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তারা মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার সে তার স্ত্রীকে নিয়ে তিনি হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তবে এ বিষয়ে লাখাই থানার (ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেছি। ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের সাথে আমার আলাপ হয়েছে। তারা এখনও কোন লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

তারা বর্তমানে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাদিরা বেগম জানান, ধর্ষণের অভিযোগে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না তা পরীক্ষার নিরীক্ষা না করে বুঝা যাবে না। পরীক্ষার পরই বিষয়টি সম্পর্কে জানা যাবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *