ওসমানী নগরের ৬নং তাজপুর ইউনিয়নের কাদিপুরে ছাগল নিয়ে কথাকাটাকাটির জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় ৫জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ৩১ জুলাই বিকাল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সন্ত্রাসী হামলার আহতরা হলেন, কাদিপুর গ্রামের আফিজ আলীর ছেলে মকবুল আলী, মৃত কন্টুর আলীর ছেলে মারুফ আহমদ, মৃত আফিজ আলীর ছেলে তুরুণ মিয়া, মো. সুফি মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম ও মকবুল আলীর ছেলে শাহারুন বেগম।
সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ১৪ জনের নামোল্লোখ করে এবং ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ওসমানীনগরের কাদিপুর পাঠান পাড়ার মো. সুফী মিয়া ওসামানীনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, কাদিপুর পাঠানপাড়ার মৃত আখলাছ মিয়ার ছেলে আমির মিয়া, জবারক মিয়ার ছেলে হিরন মিয়া, মৃত আঙ্গুর মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া, মৃত আলখাছ মিয়ার ছেলে গয়াছ মিয়া, আনজুর মিয়া, তবারক মিয়ার ছেলে রুহেল মিয়া, আবরক মিয়ার ছেলে কিরন মিয়া, পিয়ার আলীর ছেলে মাসুম মিয়া, মুছাব্বির মিয়া, আব্দুল আহাদের ছেলে আব্দুল হক, মৃত সিদ্দেক আলীর ছেলে আলী, জলিল মিয়া, আনজুর আলীর ছেলে মুরছালিন, আব্দুল শাহিদ নানা।
অভিযোগে সুফি মিয়া উল্লেখ করেন, উপরোক্ত আসামীদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিলো। ৩০ জুলাই একটি ছাগল নিয়ে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে ৩১ জুলাই ৩টার দিকে উপরোক্ত আসামীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মো. সুফি মিয়ার বাড়ীতে ঢুকে তার উপর হামলা চালায়। এসময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে মকবুল আলী, মারুফ আহমদ, তুরণ মিয়া, সুফিয়া বেগম ও শাহারুন বেগমের উপর উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে তারা গুরুতর আহত হন। তাছাড়া লাঠি দিয়েও সন্ত্রাসীরা আক্রমন চালায়। আসামীরা সুফি মিয়ার বাসায় ঢুকে দরজা জানালা, আসবাবপত্র, টিভি, বাসনপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করে প্রায় ৫৫ হাজার টাকা ক্ষতি সাধিত করে ও নগদ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
তাছাড়া আহত শাহরুন বেগমের ঘরের স্টীলের আলমিরা থেকে ১লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। আসামীরা মামলা করলে আহতদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।