হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা শুভ দাস গুপ্তের হাতে যে পিস্তলটি দেখা গেছিল সেটি তার নিজের অবৈধ পিস্তল বলে জানা গেছে। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে শুভ এ কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। শুভ দাস বানিয়াচং উপজেলার সুনারু গ্রামের সুজিত দাসের ছেলে সে, এবং দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক সুশান্ত দাস গুপ্তের ভাতিজা। গতকাল রোববার হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করে।
পুলিশ জানায়, ভিডিও ফুটেজে চিড়াকান্দি মঞ্জুরী ভবনের ৩য় তলায় সিড়ির পাশে খালি গায়ে জিন্সের প্যান্ট পরিহিত শুভ দাসের হাতে পিস্তল দেখা গেছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও সদর মডেল থানা পুলিশের
জিজ্ঞাসাবাদে পিস্তলটি নিজের বলে স্বীকার করেছেন শুভ। তার স্বীকারোক্তির সঙ্গে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের মিলও রয়েছে। গত শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশ এসল্ট মামলার আসামী শুভ দাসকে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। তিনি উশৃঙ্খল ও দুর্ধর্ষ প্রকৃতির লোক এবং যে কোন সময় দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জানা যায়, দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকায় গত এক বছর ধরে রাজনৈতিক, ক্রীড়াঙ্গান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণি পেশার লোকজনের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে গত ১৯ এপ্রিল শহরবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন শুরু হয়। এ সময় পত্রিকাটির সম্পাদক সুশান্ত দাশ গুপ্ত উস্কানীমূলক প্রচারণা করেন ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়ার পাশাপশি ফেসবুক লাইভে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতে থাকেন।
তবে ঘটনার সময় একদল যুবকের ইটপাটকেল ও টেটা ফিকল ছোড়াছুড়িতে পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হন, এবং মঞ্জুরী ভবন ব্যাপক ভাংচুর হয়।
এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি পুলিশ এসল্ট মামলা হয়। এছাড়াও সুশান্ত দাশগুপ্তসহ তার সহযোগীদের আসামী করে আরও দুইটি মামলা হয়েছে। পুলিশ এসল্ট মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।