সিলেটে গণধর্ষণের পর কিশোরীর হাতে দেয়া হয় ৬০ টাকা,তুলে দেয় ধর্ষণকারীরা 

নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল থেকে ২২ বছরের এক কিশোরীকে ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে কয়েকজন যুবক। ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে লালাবাজার এলাকায় নামিয়ে দিলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় ওই কিশোরীর হাতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও গাড়ী ভাড়ার ৬০ টাকা হাতে তুলে দেয় ধর্ষণকারীরা। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনাটি ঘটে।

ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরীর বোন বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ প্রযুক্তি সহায়তায় চার ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃত সোহেল মিয়া, জামাল খাঁন, সাইফুর রহমান বাবুল গত ১৮ মার্চ ধর্ষণের দায় স্বীকার করে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

পুলিশ জানায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ সুরমা থানাধীন হুমায়ুন রশিদ চত্বর থেকে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে কিশোরীকে ধর্ষণকারীরা সুকৌশলে চন্ডীপুলে যাওয়ার কথা বলে সিএনজি গাড়ীতে তুলে। এরপর ধর্ষণকারীরা কিশোরী চন্ডিপুলে না নামিয়ে জোরপূর্বক অপহরন করে অজ্ঞাত’স্থানে নিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ ক্লুলেস গণধষর্ণ মামলাটি তদন্তে নেমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ১৮ মার্চ সিলেটের ওসমানীনগর থানাধীন ঘোষগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের মর্তুজা খানের ছেলে সুরমান খানকে (৩০) প্রথমে গ্রেফতার করে। এরপর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার দুর্লভপুর মনতলা গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৮), ওসমানীনগরের ৭নং দয়ামীর ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ড কাপন খালপাড় গ্রামের মৃত আমজাদ খাঁনের ছেলে জামাল খাঁন (৩৫), একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নিজ করুয়া (জায়গিরদারপাড়া) গ্রামের আফতাব মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান বাবুল।

তবে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণ করে লাপাত্তা হয়ে যায় ধর্ষণকারীরা।

পরে পুলি প্রযুক্তিসহ নানা ভাবে চেষ্ঠা চালিয়ে ৪জনকে গ্রেফতার করেছে। এরমধ্যে ৩ জন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে।

কিশোরীকে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল থেকে সিএনজি অটোরিকশা করে সিলেট জেলার ওসমানীনগর থানাধীন চন্ডীত্তীয়র গ্রামস্থ কালা চাঁদের তলার দক্ষিণ পার্শ্বে রুনি হাওড় নামক স্থানে গণধর্ষণ করে হয়।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *