হারাগাছে শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে প্রার্থীরা

রংপুর প্রতিনিধি :: দেশে পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে হারাগাছ পৌরসভা নির্বাচন আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী (রবিবার)অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হারাগাছে পৌরসভায় উৎসব মূখর পরিবেশ বিরাজ করছে! প্রাথীরা শেষ মূহুর্তে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয়কররার চেষ্টা করছেন। এসময় পৌর এলাকার বিভিন্ন অলী গলীতে দেখা যায় প্রাথীরা উঠোন বৈঠক করছেন, জনসভা করছে!

উল্লেখ্য, এই পৌর নির্বাচনে বিএনপির মোনায়েম ফারুক ও ইসলামী আন্দোলন থেকে জাহিদ হোসেন তবে সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে এ পৌরসভায় প্রার্থী দিতে পারেনি জাতীয় পার্টি।

জানা যায়, আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাকিবুর রহমান পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন। অপরদিকে মেয়র পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এরশাদুল তার ছাত্র ছিলেন। তবে এই পৌরসভায় চারজনই ক্ষমতাবান হওয়ায় কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায়ও মাঠ দখলে রাখতে চাইছেন চার নেতাই।

ভোটাররা বলছেন, যিনি যোগ্য প্রার্থী এবং এলাকার উন্নয়ন করবেন তাকেই ভোট দেবেন তারা।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র হাকিবুর রহমান মাস্টার বলেন, হারাগাছ পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। এই পৌরসভার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতেই জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। আমি এই হারাগাছ এলাকার দীর্ঘদিন শিক্ষক ছিলাম। মেয়র পদে আমার সঙ্গে যে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে সে আমার ছাত্র।তিনি আরো বলেন,আমি হারাগাছের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে চাই।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এরশাদুল বলেন, এই পৌরসভার সাধারন মানুষ আমাকে চায়।তাই তাদের জন্য আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।আমার নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের উপর আস্থা আছে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে আমার জয় নিশ্চিত।

বিএনপির প্রার্থী ফারুক বলেন, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা আছে। কোনো দলীয় প্রভাব না খাটালে শতভাগ নিশ্চিত যে, জয় বিএনপি প্রার্থীরই হবে।আমার উত্তরসূরীরা যেভাবে হারাগাছের মানুষের জন্যে কাজ করেছে আমি ও তাদের মতো কাজ করে যেতে চাই।

প্রসঙ্গত,আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী হারাগাছ পৌর সভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ২০টি কেন্দ্রে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দিবেন ভোটাররা। এ পৌরসভায় মোট ভোটার ৪৯ হাজার ১৭ জন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা ২৫ হাজার ৩২৪ এবং পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৬৯৩ জন ।এ নির্বাচনে ৪ মেয়র প্রার্থী ছাড়াও কাউন্সিলর পদে ৪৮ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এখন শুধু কিছু সময়ের অপেক্ষা কার মুখে ফুটবে শেষ হাসি।কে হাল ধরবে এই অবহেলিত পৌর এলাকার।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *