নিজস্ব প্রতিনিধি:: বানিয়াচং উপজেলার লামাপাড়া গ্রামের মৃত হরমুজ উল্লার ছেলে মুছা মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক প্রতিপক্ষের বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এ ঘটনায় ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, ওই সময় মুছা মিয়া ও তার লোকজন প্রতিপক্ষ একই গ্রামের আমির হোসেনের (৬৫) বাড়িতে হামলা চালায়। শুধু তাই নয় আমির হোসেনের একটি পোষা কুকুরকে হত্যা করে হামলাকারীরা। পূনরায় হামলার ভয়ে আতঙ্কে রয়েছেন লামাপাড়া গ্রামের নারী-পুরুষ ও শিশুরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারী বিকাল সাড়ে ৩ টায় আমির হোসেন মিয়ার একটি কুকুরকে মেরে পা ভেঙ্গে দেয় মুছা মিয়ার ছেলে সাদেক হোসেন মুন্না। এর প্রতিবাদ করে আমির হোসেন মিয়ার ভাতিজা দিলসাদ হোসেন (১২)। এর জের ধরে বিকাল ৪ টায় মুছা মিয়া ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমির হোসেন মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। এ নিয়ে উভয় পক্ষ মামলা পাল্টা মামলা করে। এরপর থেকে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে পুনরায় ঝগড়া করতে মরিয়া হয়ে উঠে মুছা। কোন কারণ ছাড়াই গত ৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকাল ৩টায় আমির হোসেন মিয়ার সেই পোষা কুকুরটিকে ফিকল দিয়ে খুঁচিয়ে ও লাঠি দিয়ে বেধরক পিটিয়ে হত্যা করে মুছার ভাই লেচু মিয়া (৫৫)। কিন্তু এ ঘটনায় কেউ কোন প্রতিবাদ করেনি।
কুকুর হত্যা করেও প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষ করতে না পেরে আমির হোসেন মিয়া ও তার আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে হামলার পরিকল্পনা করে মুছা। গত রবিবার সকাল পৌণে ৮ টায় আকস্মিক হামলা চালায়।
এতে রুহুল আমিন (২২), দিলসাদ (১২), ইমদাদুল (১৬), মিহাদ (১২), অপু (২৮), মামুন (২৬), সোহাগ (৩৭) গুরুতর আহত হন।
আহতরা বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার এস আই আব্দুস ছাত্তার ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন।