এমসি ছাত্রাবাসে গৃহবধুকে গণধর্ষণ: বদরুজ্জামান সেলিমের নিন্দা

বৃহত্তর সিলেটের শতবর্ষের ঐতিহ্যের স্মারক প্রতিষ্ঠান এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে কতিপয় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী কর্তৃক স্বামীকে বন্দী করে গৃহবধুকে গণধর্ষণের ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম।

একই সাথে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশী হামলারও নিন্দা জানান তিনি।

বর্বর জঘন্য ঘটনার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ লম্পটদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্থির দাবি জানান তিনি।

এক বিবৃতিতে বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বদরুজ্জামান সেলিম বলেন, সরকারের মদদে ছাত্রলীগ দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সিলেটের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিতারিত করে ক্যাম্পাসগুলোকে সন্ত্রাসের মিনি ক্যান্টনমেন্টে পরিনত করেছে। এই ছাত্রলীগের হাতেই সিলেট ঐতিহ্যবাহী এমসি ছাত্রাবাস পুড়ে ছাই হয়েছিল। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার কোন বিচার হয় নাই। এর কারণেই ছাত্রলীগ দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের মতো একটি পবিত্র স্থানে একজন বধুকে তার স্বামীর কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে তাকে বন্দী করে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা আইয়্যামে জাহেলিয়াতকে হার মানিয়েছে। কোন ছাত্র সংগঠনের পক্ষে এমন বর্বরতা বিশ্বাসযোগ্য না হলে ছাত্রলীগ তা করে দেখিয়েছে। এদের লাগাম এখনই টেনে ধরতে হবে। অন্যথায় এদের হাতে কারো মা-বোন মেয়ের ইজ্জত নিরাপদ থাকবে না। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদল আয়োজিত তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ হামলা চালিয়ে জড়িতদের আড়াল করার ষড়যন্ত্র করছে। এই ধরনের হামলা মামলা বন্ধ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।

অবিলম্বে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্থি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি এসব সন্ত্রাসীদের মদদদাতাদেরও বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে লম্পটদের আজীবন নিষিদ্ধ করতে হবে। ক্যাম্পাসে বিরোধী মতের ছাত্রসংগঠনের সহ অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় সিলেটবাসীর ধৈর্য্যরে বাধঁ ভেঙ্গে গেলে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়বে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *