সিলেটে পুলিশ ও জনগনের সম্পর্ক তৈরীতে ‘আস্ক ইওর লোকাল পুলিশ’ শীর্ষক কর্মশালা

দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে উন্নয়ন সংস্থা আইডিয়া কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পিস’ প্রকল্পের আওতায় ‘আস্ক ইওর লোকাল পুলিশ’ শীর্ষক একটি কর্মশালা বৃহস্পতিবার টুকেরবাজারে একটি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পুলিশ ও জনগনের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে পরস্পরের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা তৈরির মাধ্যমে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরিচালিত পুলিশের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হলো কমিউনিটি পুলিশিং। মূলত এলাকায় অপরাধ প্রতিরোধ ও আইন প্রয়োগে কমিউনিটি পুলিশিং এর কাজ কী এবং কিভাবে তারা পুলিশকে সহায়তা করবেন এসকল বিষয় নিয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সিলেটে মেট্রোপলিটন পুলিশ জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত মো. শাহীন মিয়া, কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার (এসআই) প্রদীপ সরকার এবং সাব ইন্সপেক্টর মো. আছাদুজ্জামান। এছাড়াও জালালাবাদ থানার অন্তর্গত বিভিন্ন বিভিন্ন ইউনিয়নের মোট ১১টি ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সদস্য ও সদস্যাবৃন্দ। একই এলাকার সাংবাদিক, এ্যাডভোকেট, কলামিস্ট, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, উন্নয়ন কর্মী, ছাত্র-শিক্ষক, নারী নেত্রী, ইউপি সদস্য, জেলা পরিষদ সদস্য, ইমাম-পুরহিত ও আয়োজকসহ মোট ৫৫ জন এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় অংশগ্রহনকারীগণ কমিউনিটি পুলিশিং, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক, জঙ্গীবাদ, কিশোর অপরাধ, থানায় সাধারন ডাইরির প্রক্রিয়া, মামলার সাক্ষী হওয়া এবং করোনা ভাইরাসের কারনে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে করনীয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন এবং উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা তার যথাযথ উত্তর প্রদান করেন।

উন্নয়ন সংস্থা আইডিয়ার পক্ষে, পিস প্রকল্পের সমন্বয়কারী সুদীপ্ত চৌধুরী তিনি বলেন, পুলিশি কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, পুলিশ ও কমিউনিটির মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান এবং পুলিশ ও জনগনের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা বাড়ানো এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য। তিনি আরোও বলেন, সিলেটের স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা আইডিয়াকে সাথে নিয়ে এশিয়া ফাউন্ডেশনের “পিস” প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। সেক্ষেত্রে, ফাউন্ডেশন আইডিয়াকে আর্থিক ও কারিগরী সহায়তা দিচ্ছে এবং আইডিয়া মাঠ পরযায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি সিলেট সিটি করপোরেশনসহ সিলেট সদর, জৈন্তাপুর ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার ০৮ টি থানায় মোট ১০০ টি কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের মাধ্যমে গত ডিসেম্বর (২০১৯) থেকে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

তিনি উপস্থিত অতিথিদের নিকট “পিস” প্রকল্পের লক্ষ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো, কার্যকরভাবে নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা, পুলিশ ও কমিউনিটির মধ্যে তথ্য বিনিময় এবং নানাবিধ প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে উগ্রবাদ বিরোধী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে শক্তিশালী করা।

তিনি আরও বলেন, কর্মশালাটি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে পুলিশ ও জনগনের মধ্যে দুরত্ব কমে আসবে। এই প্রশ্নোত্তরের মধ্য দিয়ে নাগরিকদের মধ্যে পুলিশি ভীতি দূর হবে; পরস্পরের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা বাড়বে এবং একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী হবে। যার মধ্যদিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং এর মূল লক্ষ্য অর্জন হবে।

কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন পিস প্রকল্পের প্রশিক্ষণ এবং প্রোগ্রাম কর্মকর্তা রোজীনা চৌধুরী।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *