“মি.শরীফ গাজী”::
এটা সত্যি যে বন্ধুত্ব জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা আমার আপনার সবাইরি । একটা সময়ের পর জীবনকে যেন আমরা বুঝতেই শিখি বন্ধুর হাত ধরে। কিন্তু বন্ধুর সব সংকটে আছে তা একবারেও জানতে চাইনা, সব বিপদেই কি আমরা নির্দ্বিধায় পাশে দাঁড়াতে পারি?
এমনো তো দেখা যায়, বন্ধুর বিপদে গা বাঁচানোর জন্যই আমরা পিছুটান দিই অনেক উদাহরণ দিতে থাকি। নিজের দোষের কারণে বন্ধু যখন কোনো ঝামেলায় জড়ায়, তখন কি মনে হয় না খামাখা এই ঝামেলায় নিজে না জড়ানোই ভালো! এমনটা বলে নিজের থেকে সরে দাঁড়ায়।
বিপদে পড়লে বন্ধু চেনা যায়,
কথাটি আজকাল খুব শোনা যাচ্ছে। আর হ্যাঁ এই কথাটি যারা বলে বেড়াচ্ছেন তারা হলেন সেই শ্রেণীর বন্ধু,যারা বন্ধুকে কখনো পর মনে করে না এমন কি বন্ধু জন্য সে তার জীবন চলে যাবে তবে বন্ধুর বিপদ আপদে থাকবে তার অর্থ না থাকুক বা না থাকুক খোঁজ খবর সব সময় নিতে থাকে আর সে যাদেরকে বন্ধু বলে বলে পাগল হয়ে পরে সে মনে করে বন্ধু তার সব কিন্তু সে পাগলটা বুঝতে পারে তাকে দুই টাকার বন্ধু তো দূরের কথা মানুষ মনে করে না। যখন আসল বন্ধু বিপদে তখন বন্ধুর রুপ কি তা দেখা যায় ও বুঝা যায়, বন্ধু বর্তমান যুগে টাকা থাকলে তোমার প্রিয় বন্ধু তোমার খোঁজ খবর সব সময় নিতে থাকবে এমন কি ব্যাংকের মত টাকা পয়েসা ধার দিতে থাকবে যেমন টাকার গাঁয়ে লেখা থাকে চাহিবার মাত্র ইহার বাহকে দিতে বাধ্য থাকিবে,ঠিক কারন ওর আছে বলে তাকে দিবে আর যার নাই তাকে বন্ধু বলো আত্মীয় বলো ব্যাংক বলো কেউ তোমার দিকে ফিরে ও থাকাবে না এমন তাদের কে কল দিলেও কল রিসিভ করবেনা তোমার অনেক অজুহাত দেখাবে তখন বুঝবে যাদের কে এতদিন বন্ধু মনে করে আসছিলে তারা তোমার বন্ধু ছিলোনা, যখন তাদের দরকার হবে তখন তোমাকে ঠিকি যোগাযোগ করবে তখন কত কথা বলে তোমাকে আর্কষন করবে তুমি হয়েতো বন্ধু মনে সেটা করবে,কারন সে তোমার বন্ধু মনে করো।
খুবই নির্ভার আর স্বাধীন এ সম্পর্কে সেভাবে ‘কমিটমেন্ট’ শব্দটি উচ্চকিত না থাকলেও, ‘বন্ধু’ বলার সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু তাদের কথাই মনে হয়, যারা ভালো ও খারাপ সময়ে শর্তহীনভাবে আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়,কয়েজনে দাঁড়ায় এমন। তবে এ কথাও ঠিক, বন্ধুকে সাহায্য করার ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় আমরা বুঝে উঠতে পারি না, ঠিক কীভাবে তাকে সাহায্য করব। চাকরিচ্যুতি, সম্পর্কে সমস্যা বা বিচ্ছেদ, অসুস্থতা, পারিবারিক সমস্যা থেকে শুরু করে আইনগত জটিলতা, মামলা, অর্থসংক্রান্ত সমস্যায় ফেঁসে যাওয়া ইত্যাদি নানা জটিলতায় কিন্তু যে কেউ পড়তে পারে।
কিছু মনোযোগ দিয়ে বন্ধুর সমস্যার কথা শুনুন কথা শুনেছেন কি,
যেকোনো ধরনের সমস্যা বা বিপদে পড়াই এক ধরনের মানসিক চাপ। এই চাপ কিছুটা হলেও কমানো যায় কারও কাছে মনের কথা নির্দ্বিধায় খুলে বললে। কাজেই বন্ধুকে সাহায্য করার প্রথম পদক্ষেপই হবে তার সমস্যার কথা বলতে দেওয়া এবং সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে তার কথা শোনা। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কোনো ব্যক্তি কিছু শোনার মতো অবস্থায় থাকে না বলে এ সময় কোনো ধরনের মন্তব্য বা বিষয়টার বিশ্লেষণ না করাই ভালো। আজ তোমার আছে কাল বা নাও থাকতে পারে তুমিও ওর মতো হতে পারো তার কি গ্যারান্টি আছে।
সব শেষে কিছু বলি,
আমরা যাদের আত্মীয় বলে জেনে এসেছি, দু-একজন ছাড়া তাদের কারোর কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা সত্যিই পেয়েছেন কি তা জানা নেই আমার।
যেখানে রক্তে সম্পর্ক নেই সেখানে আমার আপনার পাশে এসে দাড়াবে, কোনো বন্ধু হয়েতো দাঁড়াবেনা এটাই সত্যি । ফলে আমরা জীবনে রক্তের সম্পর্ক আছে এমন মানুষজন ‘রক্তীয়’ই থেকে গেছেন, ‘আত্মীয়’ হয়ে উঠতে পারেননি। রক্তের সম্পর্ক নেই এমন মানুষ-জনই বরং আমার আত্মীয়। প্রকৃত আত্মার সম্পর্ক তাদের সঙ্গেই। তাদের কেউ কেউ আমার খুব ঘনিষ্ঠ। কারও কারও সঙ্গে আমার দেখা হয় কদাচিৎ। কাউকে কাউকে আমি হয়তো এখনও চিনেই উঠতে পারিনি!
কেমন মানুষ তারা আছেন আমার আশপাশেই। তারা আমাকে ভালোবাসেন শর্তহীনভাবে।
কখনও কোনো বিপদে পড়লে ঠিক তারা এসে হাজির হয়ে যান,তবে এখন এ বিপদে হয়েতো দাঁড়াতে পারেনা ইচ্ছা অনিচ্ছা। যেমনটা ঘটেছিল কিছুদিন আগেও।
ফলে যাদের সঙ্গে নিয়মিত থাকি, যাদের ঘনিষ্ঠ বলে জানি, যাদের সঙ্গে নিয়মিত ওঠাবসা করি; তারাই যে আমার আপনজন_ তা হলফ করে বলা যায় না।
বিপদে পড়লে বোঝা যায়_ কে আপন আর কে পর। তার আগে আপন-পর চেনা? ভারি মুশকিল! হয়েতো এমন দিন আসবে বন্ধু উপর বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে। একটা বলি আসুন আমরা বন্ধু নয় মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াই এ করোনা’র বিপর্যয় কিছু অসহায় বন্ধুদের পাশে দাঁড়াই এবং খোঁজ খবর নেই।জয় হোক বাংলার মানুষের, জয় হোক মানবতার।