অসহায়দের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে সিলেট জেলা পুলিশ

মরণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন কর্ম হারিয়ে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের এক শ্রেনীর মানুষ। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা কিংবা দায়িত্ব পালনের সময় বাস্তব উপলব্ধি থেকে নিম্ন আয়ের এসব মানুষের পাশে এগিয়ে এসেছে সিলেট জেলা পুলিশ।

জেলার শীর্ষ কর্তা-ব্যক্তি থেকে শুরু করে অন্যান্য উর্ধ্বতন অফিসার এবং থানার অফিসার ইনচার্জগন জেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ছুটে চলেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার(৬ এপ্রিল) সকাল ১১ ঘটিকায় সিলেট নগরীর কাজীটুলা ও চৌকিদিঘী এলাকার প্রায় ৮০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম। সাথে ছিলেন পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ইমাম মোহাম্মদ শাদিদ (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দক্ষিনের দায়িত্ব) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো: লুৎফর রহমান প্রমুখ।

এদিকে আজ দুপুর ১২ ঘটিকা থেকে বিকাল ৩ ঘটিকা পর্যন্ত পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মো: মাহবুবুল আলম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে  জকিগঞ্জ থানার আটগ্রামস্থ গুচ্ছ গ্রাম এবং বিরশ্রী আশ্রয়ন প্রকল্পে ১২০ জন নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেন।

পাশাপাশি বিকাল ৪ ঘটিকা থেকে ৬ ঘটিকা পর্যন্ত বিয়ানীবাজার থানার সামনে এবং ডুবাগস্থ গুচ্ছ গ্রামে তৃতীয় লিঙ্গ,বেদে সহ নিম্ন আয়ের ১৫০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্যসামগ্রী বিতরণে অন্যান্যের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিয়ানীবাজার সার্কেল) সুদীপ্ত রায়,জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মীর আব্দুন নাসের, বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ অবনী শংকর কর প্রমুখ।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) লুৎফর রহমান জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে সিলেট জেলার প্রত্যেকটি সদস্য নিরলসভাবে কাজ করছে।পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে আমাদের সাধ্যমত কিছু খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিচ্ছি।দেশের ক্রান্তিকালে সমাজের বিত্তবানদের নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।তবে করোনা ভাইরাস সংক্রমন হতে নিরাপদ থাকতে প্রত্যেককেই সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ঘরে থাকতে হবে বলে যোগ করেন তিনি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *