নবীগঞ্জে ৩ সাংবাদিকের উপর হামলা:১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি -কয়েস মাহেদি:: নবীগঞ্জেরর তিন সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। রাতভর অভিযান চালিয়েও তকে গ্রেফতার করা যাচ্ছেনা। তবে তার সহযোগি খালেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত খালেদ একই উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের আব্দুল মালিকের পুত্র ও ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুনের মালিকানাধীন অরবিট হাসপাতালের ম্যানেজার।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় মূলঅভিযুক্ত স্থানীয় আউশকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দৈনিক আমার সংবাদের নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি মুজিবুর রহমান।

মামলার দায়েরর পর থেকেই নবীগঞ্জ থানার ওসি (অপারেশন) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ চেয়ারম্যানের বাড়িতে এবং তার নিজ গ্রাম মিনাজপুরে অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশ আসার খবর পেয়ে আগেভাগেই ইউপি চেয়ারম্যান হারুন বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে তার সহযোগি খালেদকে গ্রেফতার করা হয়।  অভিযানের পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যায় ইউপি চেয়ারমান হারুন। কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠজনেরা। এ দিকে পুলিশ জানিয়েছে হারুন পুলিশের ভয়ে পালিয়ে গেছে।

নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুর রহমান খালেদকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক খালেদকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন মামলার পর থেকেই চেয়ারম্যান হারুন পলাতক রয়েছে। অনেকটা আত্মগোপনে রয়েছেন।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ফৌজদারী অপরাধ করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ইতিমধ্যে ১ জনকে আটক করা হয়েছে। যদি ইউপি চেয়ামর‌্যান আটক হন কিংবা তার বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিলে অভিযুক্ত হন তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে অর্থাৎ সাময়িক বহিস্কার করা হবে।

উল্লেখ্য সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান হারুন করোনায় ঘরবন্দি মানুষের মাঝে চাল বিতরনের সময় ব্যাপক অনিময় করে। বিষয়টি নিয়ে গত ৩০ মার্চ নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের সংবাদ ও ফেইসবুকে লাইভ প্রচার করেন দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি শাহ সুলতান আহমেদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান হারুনসহ তার লোকজন ১ এপ্রিল বিকেলে স্থানীয় আউশকান্দিতে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে আহত করে সুলতানকে।

 

তবে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আরো দুই সাংবাদিককেও আহত করা হয়। এ ঘটনার পর থেকেই সাংবাদিকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউপি চেয়ারম্যান হারুনকে গ্রেতারের দাবী জানান সাংবাদিক নেতারা।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *