আগের তুলনায় কৃষি এখন ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে: সাবেক অর্থমন্ত্রী

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, আমাদের শক্তি হচ্ছে কৃষি। এর উপর ভিত্তি করেই আমাদের অগ্রযাত্রা । শিল্পায়নে অনেকটা এগিয়ে গেলেও এখনো বাংলাদেশ কৃষি ভিত্তিক দেশ।

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমার দেশের আছে মানুষ ও মাটি। এটাই আমার অর্থনীতির মুল শক্তি। দেশে আগের তুলনায় কৃষি এখন চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কথা মতো মাটি ও মানুষ হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার মুল অস্ত্র। কালের বিবর্তনের এবং সময়ের প্রয়োজনে আমাদের জনশক্তির চরিত্র পরিবর্তন করা দরকার। তিনি কৃষক সমাজকে দক্ষতা বৃদ্ধির তাগিদ দিয়ে তাদেরকে শিক্ষা ও বিজ্ঞান মনস্ক হওয়ার আহবান জানান।  শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে যে ২০৪০ সালের ভিশন ঘোষণা করেছেন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে তা সহজে অর্জন করা সম্ভব হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে কৃষি প্রডিউসার অর্গানাইজেশন সিলেটের উদ্যোগে আয়োজিত গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবির্ধত অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সিলেটের আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার (পিআরএল) কৃষিবিদ মো. আবু নাছের ও চ্যানেল আইয়ের সিলেট প্রতিনিধি সাদিকুর রহমান সাকী’র পরিচালনায় এবং অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. ফজুলল কবিরের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিমল চন্দ্র সোম, উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. সালাহ উদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মজুমদার মো. ইলিয়াস, এফবিসিসিআই এর পরিচালক খন্দকার সিপার আহমেদ, দক্সিণ সুরমা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মুমিন, দক্ষিন সুরমা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, বীজ ডিলার সমিতির সভাপতি আশরাফ চৌধুরী।

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বিজিত কুমার আচার্য্য, ফারুক আহমদ, হুমায়ুন রশিদ শাহীন, একে আজাদ ফাহিম, সদর উপজেলার উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন চৌধুরী, কৃষি প্রডিউসার অর্গানাইজেশন সিলেটের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সহ-সভাপিত সৈয়দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চন্দ্র চন্দ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা কৃষি প্রডিউসার অর্গানাইজেশন কোষাধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান, পদক প্রাপ্ত কৃষক আব্দুল হাই বাবলা, আবুল হোসেন, কৃষক প্রতিনিধি শাহ খলিলুর রহমান রাজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রশিদ, আব্দুল লতিফ, গোকুল রঞ্জন দত্ত (শেখর )আব্দুল গফুর, আব্দুল মালিক, আব্দুল মুকিত, কয়ছর আহমদ, মনোরঞ্জন নম, সাদিকুল হক প্রমুখ ।

সভায় বক্তারা বলেন, সিলেটের কৃষির অন্যতম অন্তরায় সেচ ও বাজার ব্যবস্থাপনা। একদিকে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত সেচ ব্যবস্থার কারণে। অপরদিকে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করণে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন কৃষকরা। নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র না থাকায় কৃষক ও ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কিন্তু লাভবান হচ্ছেন মধ্য স্বত্তভোগীরা। তারা উপরোক্ত সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বক্তারা আরো বলেন, চাকরী, চিকিৎসা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোটা থাকলেও কৃষকদের কোন কোটা নেই। রোদ বৃষ্টিতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করে দেশের খাদ্যের চাহিদা পুরণ করলেও তারা পাননা কোন ভাতা। এসব ক্ষেত্রে বিরাজমান বৈষম্য দূর করার দাবি জানান কৃষকরা।

উক্ত অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রায় সহস্রাধিক কৃষক অংশ গ্রহণ করেন। সভায় শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন কৃষক হাফিজ মো. তাজুল ইসলাম ও গীতা পাঠ করেন সুমন চক্রবর্তী।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *