সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ির জাতীয় উদ্যানের পাহাড়ের ঢাল ও চূড়ায় ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে ২২টি টিপরা পরিবার।
প্রতিবছরই এখানে পাহাড়ধসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এর পরও ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের পুনর্বাসনের কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।
জানা যায়, গত বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে সাতছড়ি টিপরা পল্লীর ব্যাপক পাহাড়ধসের সময় স্থানীয় প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে বাঁশের পাইলিং ও বস্তা দিয়ে সাময়িক মেরামত করে।
দিন দিন পাহাড়ের ভাঙন টিপরা পল্লীর বসতঘরের নিকট চলে যাচ্ছে। এ বছর পাহাড় ধস থেকে তাদের রক্ষা করতে না পাড়লে টিপরা পল্লী পাহাড়ি চূড়ায় বিলিন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি মানবাধিকার কর্মী কামরুল ইসলাম বলেন, অবাধে গাছ কাটা ও পাহাড় থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে প্রতিবছর ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। এতে পাহাড়ের চূড়ায় বসবাসকারী ব্যক্তিদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
চুনারুঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর বলেন, এখানে বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষ অতি দরিদ্র।
তাদের সবার পক্ষে নিজ উদ্যোগে নিরাপদে সরে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই তাদের পুনর্বাসন করা প্রয়োজন। আবার অনেকেই নিজের বাপ-দাদার ভিটে ছেড়ে অন্যত্র যেতে চাচ্ছেন না। চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশ বলেন, টিপরা পল্লীর বিষয়টি আমি জেনেছি। আগামী বর্ষার আগেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।