কলেজছাত্র অভিষেক দে দীপ হত্যা : আসামিরা অধরা, আসতে পারে আন্দোলনের ঘোষণা

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: সিলেট নগরীর টিলাগড়ে খুন হওয়া কলেজছাত্র অভিষেক দে দীপ হত্যামামলার আসামিরা এখনও অধরা। খুনের পর ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামি ছাড়া বাকিদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে দীপের পরিবার ও সহপাঠীদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ ও হতাশা। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে আসতে পারে আন্দোলন-কর্মসূচির ঘোষণা- পাওয়া গেছে এমন আভাস।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯ টায় টিলাগড় পয়েন্ট এলাকায় রাজনৈতিক সহকর্মীদের ছুরিকাঘাতে খুন হন অভিষেক দে দীপ (১৭)। সে গ্রিনহিল স্টেট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং শিবগঞ্জের সাদিপুর এলাকার ফারজানা হাউজের বাসিন্দা দিপক দে-এর একমাত্র ছেলে। তার বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট গ্রামে। সরস্বতী পূজার বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে।

ঘটনার পরদিন শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ নিহতের পিতা দিপক দে’র কাছে ছেলের মরদেহ হস্তান্তর করে। ঐদিন বিকেলে চালিবন্দর শ্মশানঘাটে অভিষেক দে দীপকে সৎকার করা হয়।

দীপ খুনের দু’দিন পর তার পিতা দিপক দে বাদি হয়ে ৪ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরান (রহ.) থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি টিলাগড় গোপালটিলা এলাকার সন্টু রায়ের পুত্র সমুদ্র রায় সৈকতকে (২২) ঘটনার রাতেই ওসমানী হাসপাতাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাতে চিকিৎসার জন্য তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার সৈকতকে ছাড়পত্র দিলে ঐদিন পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

মামলার এজাহারভুক্ত অপর তিন আসামি হচ্ছে- গোপালটিলা এলাকার সজল দের পুত্র সৌরভ দে (২০), রতন দেব এর পুত্র পূজন দেব (২৮) ও শংকর দের পুত্র সাগর দে (২০)।

এদিকে, দীপ হত্যামামলার বাকি খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে দীপের পরিবারের সদস্যরা ও সহপাঠীরা পর্যায়ক্রমে স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দীপের পিতা দিপক দে।

বাকি আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে শাহপরান (রহ.) থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, দীপ হত্যা মামলার হত্যা মামলার প্রধান আসামি সৈকতকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে পুরোপুরি সুস্থ হলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। তিনি বলেন, দীপ খুনের এজাহারভুক্ত অপর আসামি ও সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে, চালানো হচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান। তবে অপরাধীরা ঘন ঘন স্থান ত্যাগ করায় তাদের সহজে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। এরপরও শিগগির তাদের আইনের আওতায় আনার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *