করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১৪ হাজার মৃতদেহ পুড়িয়েছে চীন!

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহরের বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত সালফার ডাইঅক্সাইডের (এসও-২) উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ব্যাপক পরিমাণ মৃতদেহ এবং হাসপাতালের আবর্জনা পোড়ানোর কারণে এমনটা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে সকলের জন্য উন্মুক্ত ওয়েবসাইট ‘4chan’ এর ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, প্রায় ১৪ হাজার ব্যক্তির মৃতদেহ ভস্মীভূত করা হয়েছে চীনে।

গত মঙ্গলবার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা ছবির সূত্র ধরে ‘ডেইলি মেইল’ এবং ‘দ্য এক্সপ্রেস ডট কম’ এর খবরে বলা হয়, চীনের উহান ও চংকিং শহরের বাতাসে সালফার ডাইঅক্সাইডের মাত্রা উদ্বেগজনক। এই দুটি শহরে প্রতি কিউবিক মিটারে সালফার ডাইঅক্সাইডের উপস্থিতি ১৩৫০ মাইক্রোগ্রাম। যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতি ১০ মিনিটের ব্যবধানে এই মাত্রা ৫০০ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।

‘4chan’ ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ১৪ হাজার ব্যক্তির মৃতদেহ পোড়ানো হয়েছে। কারণ একজন ব্যক্তির মৃতদেহ পোড়ালে ১১৩ গ্রাম সালফার ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়। সেই হিসাবে উহানের বাতাসে যে পরিমাণ সালফার ডাইঅক্সাইডের উপস্থিতি পাওয়া গেছে তাতে প্রায় ১৩ হাজার ৯৬৮টি মৃতদেহ পোড়ানো হয়েছে।

এই সালফার ডাইঅক্সাইডের সঙ্গে উৎপন্ন হচ্ছে নাইট্রোজেন অক্সাইড যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই এসিডের প্রভাবে স্থানীয় জনগণের হাঁপানি, ফুসফুস প্রদাহ এবং ফুসফুসের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ‘এসও-২ শ্বাসক্রিয়া এবং ফুসফুসের কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে পারে এবং চোখ জ্বালা করে।’

সমালোচকদের দাবি, উহানের শ্মশানগুলোতে দ্রুতই মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এজন্য কেউ মারা গেলে বড় জমায়েত না করে নিকট আত্মীয়দের উপস্থিতিতে মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে চীনা সরকার।

এই তথ্য প্রকাশের পর চীন সরকারের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আরও শক্ত অবস্থান পেয়েছে। বারবার দাবি করা হচ্ছে যে, ব্যাপক গণভস্মীভূতকরণের মধ্য দিয়ে মৃতের সংখ্যা লুকাচ্ছে চীন সরকার। যদিও এমন দাবির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *