দিরাই-প্রতিনিধি:: দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের রায়বাঙালি গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছে। তবে পুলিশ জানায়,বুধবার বেলা ১টায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রায়বাঙালি গ্রামের ইউপি সদস্য মনু মিয়া ও শেখ জাহির আলীর লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটে।
এ সময় খবর পেয়ে দিরাই থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জাহির আলীর পক্ষের চেরাগ আলীর পুত্র ছুরত মিয়া ও হারুন মিয়ার পুত্র সাইফুল মিয়াকে আটক করে।
সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ জমিল মিয়া (৩২), আয়াজ উল্লা (৫০), আলাল মিয়া (৫২), রিপন মিয়া (২৬), ললিছ মিয়া (৩২), মাসুক মিয়া (৬০), শামীম মিয়া (৩২), এলিনা বেগম (৩০), ইশবাল (২৫), আব্দুল বারিক (৩০), মকসুদ মিয়া (৫০), রুবেল মিয়াকে (২৮) সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা দিরাই ও জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ডাক্তার নাজিয়া মানানুল ইসলাম বলেন,বুধবার সন্ধ্যার দিকে রায়বাঙালি গ্রাম থেকে ৯ জন ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন, তাদের মধ্যে ৮জনই গুলিবিদ্ধ। সবাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঐ গ্রামের এলাকাবাসী কাছ থেকে জানা যায়, উপজেলার রায়বাঙালি গ্রামের ইউপি সদস্য মনু মিয়া ও শেখ জাহির আলীর লোকজনের মাঝে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। ইতোপূর্বে দু’পক্ষের মাঝে একাধিক সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে দিকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে লোকজন ফের সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধে জড়ায়। তবে ঘণ্ট্যাব্যাপী সংঘর্ষে দু’পক্ষের ২৫ জন আহত হয়।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রায়বাঙালি গ্রামের বিবদমান দুটি পক্ষের মধ্যে দিরাই থানা ও সুনামগঞ্জ আদালতে ডজনেরও বেশি পাল্টাপাল্টি মামলা রয়েছে। পূর্ব বিরোধের জেরে ৫ জানুয়ারি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে উভয়পক্ষের ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম নজরুল ইসলাম জানান,রায়বাঙালি গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে গোলাগুলি হয়েছে কি-না সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা রয়েছে বলে জানান তিনি।