পরাজিত হইনি, আমি জিতেছি: সিলেটের মেয়ে ডেইজি

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: সদ্য সমাপ্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন ডেইজি সারোয়ার। নির্বাচনে হারলেও তাকে নিয়ে আলোচনা থেমে নেই। এই কাউন্সিলর প্রার্থীকে ঘিরে এতো আলোচনার কারণ কি?

রবিবার বিবিসি বাংলা’র ফেসবুক লাইভে নির্বাচন এবং তার প্রচারণার বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন ডেইজি সারোয়ার।

‘ডেইজি আপার সালাম নিন, লাটিম মার্কায় ভোট দিন’, নির্বাচনী প্রচারণার গান প্রসঙ্গে ডেইজি সারোয়ার বলেন, ‘আসলে নির্বাচনী প্রচারণায় সব সময়ই কিছু না কিছু গান করতেই হয়। গতবার যখন আমি সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম প্রচারণার সেই গানটা আমার ভাই করে দিয়েছিলেন। এবার প্রচারণার গান করতে গিয়ে চিন্তা করলাম কি করবো না করবো? পরে চিন্তা করলাম নতুনত্ব কিছু যদি একটা আনা যায়। আর সব সময় চেষ্টা করি একটা মেসেজ দেয়ার জন্য। আর বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রেও চেষ্টা করি, জনগণের মধ্যে একটা মেসেজ দেয়ার। কোন কাজটা করতে গেলেও আমি চাই সেটা মানুষের মধ্যে গিয়ে পৌঁছে যাক। গান করতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। তো ভাবলাম টাকা খরচ করার ইচ্ছা নেই। আমার সঙ্গে বাপ্পি সব সময় থাকে। তাকে আমি বললাম দেখো তাে একটা র‌্যাপ সং করলে কেমন হয়। এরপর চিন্তা করলাম আমার কথাগুলো আমি বললাম আর জনগণের কথাগুলো সে বললো। কোন প্ল্যান ছাড়াই গানটা করে ফেললাম।

গানের নেতিবাচক প্রসঙ্গে ডেইজি বলেন, প্রত্যেকটা কাজের পজেটিভ নেগেটিভ বিষয় থাকবে। আর কাজ করলে সেটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকবে। আর বাবা বলতেন যে যার জায়গা থেকে মন্তব্য করবে। সুতারং যে যা মন্তব্য করুক আমার কিছু যায় আসে না। কারণ আমার যে অনেস্টি, আমার যে ইচ্ছা সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করি। এর আগে মশার ওষুধ নিয়ে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। এটা নিয়ে অনেকেই বিদ্রুপ করেছেন। কিন্তু এতে আমি একটু মনে কষ্ট পেলেও পরবর্তীতে আবার ঠিক হয়ে যাই। আমার স্বামী বলছে তুমি পজেটিভ এবং নেগেটিভ মন্তব্য দুটাই দেখো কোনটা বেশি।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি পরাজিত হই নাই। কারণ একেক জনের একেক ধরনের চিন্তা। জনগণের কাছে আমি জিতেছি। এলাকার যারা ভোটার ছিলেন তাদের কাছে। এই হারটা হার বলবো না। কারণ হচ্ছে, আমার কাছে চেয়ারের কোন মূল্য নেই। পদের কোন দাম নেই। আমি পদ এবং চেয়ার চাই না। মানুষের কাজ করতে চাই। আমার ছেলে-মেয়ে এবং ভাই-বোন সবাই আমেরিকাতে। এজন্য আমি বেছে নিয়েছি এটি। মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।

ভোটগ্রহণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ভোটের সিস্টেম এবং সবকিছু ভালো ছিল। কিন্তু ভোটারদের কেন্দ্র যদি আনতে পারতাম তাহলে বিপুল ভোটে জয়ী হতে পারতাম। ভোটারদের আনতে পারিনি তার কারণ হলো আমার তেমন কেউ হেল্প করার মতো ছিল না। আবারও বলছি পরাজিত হইনি, আমি জিতেছি। মানুষের কাজ করার জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম দরকার এজন্য আমি নির্বাচন করি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *