সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: হোটেল ব্যবসার আড়ালে ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পলাতক শীর্ষ দুই আসামিকে বিপুল পরিমাণ অর্থসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে গ্রেফতার ব্যক্তিদের নাম বা পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ক্যাসিনো মামলায় পলাতক শীর্ষ দুই আসামিকে বিপুল অর্থসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুপুরে সিআইডির সদরদফতরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় মোহামেডান, আরামবাগ, দিলকুশা, ওয়ান্ডারার্স, ভিক্টোরিয়া ও ফকিরেরপুল ইয়াংমেনস ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনোর ছড়াছড়ি। এর মধ্যে ইয়াংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্রাটের শিষ্য খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। বাকি পাঁচটি ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন ইসমাঈল হোসেন সম্রাটের লোকজন।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে প্রথম দিনই রাজধানীর ইয়াংমেনস ফকিরাপুল ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার হন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক (পরে বহিষ্কার করা হয়) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
পরে একে একে গ্রেফতার করা হয় একে একে খালিদ, শামীম, ক্যাসিনো সম্রাট ও এনামুল হক আরমানকে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ সেপ্টেম্বর দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় যুবলীগ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি যুবলীগের কয়েকজন নেতার কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা শোভন-রাব্বানীর চেয়েও খারাপ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবলীগের ঢাকা মহানগরের একজন নেতা যা ইচ্ছে করে বেড়াচ্ছে, চাঁদাবাজি করছে।
আরেকজন এখন দিনের বেলায় প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চলেন। সদলবলে অস্ত্র নিয়ে ঘোরেন। এসব বন্ধ করতে হবে। যারা অস্ত্রবাজি করেন, যারা ক্যাডার পোষেণ, তারা সাবধান হয়ে যান, এসব বন্ধ করুন। তা না হলে যেভাবে জঙ্গি দমন করা হয়েছে, একইভাবে তাদেরও দমন করা হবে।
এর পরই শুদ্ধি অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।