দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১৫: ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রিলিফ ট্রেন

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী ‘তুর্ণা নিশীথার’ সঙ্গে সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাত্রা করা ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন দুইটি উদ্ধার করতে কুমিল্লার লাকসাম ও আখাউড়ার রেলওয়ে জংশন থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে এসেছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

সোমবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার শফিক তুহিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন দুইটি উদ্ধার করতে কুমিল্লার লাকসাম ও আখাউড়ার রেলওয়ে জংশন থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে এসেছে। সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে।

এদিকে, দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম-সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন জানান, নিহতদের মধ্যে নয়জন ঘটনাস্থলে, সদর হাসপাতালে দুজন, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন এবং কুমিল্লা সদর হাসপাতালে একজন মারা যান।

জানা যায়, উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি তুর্ণা নিশীথাকে সাইড দিচ্ছিলো। তখন উদয়ন ট্রেনের অর্ধেক বগি অন্য লাইনে ঢোকার পর বাকি বগিগুলোতে তুর্ণা নিশীথা ধাক্কা দেয়। এতে দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সর্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি শ্যমল কান্তি দাস জানান, ট্রেন দুটির কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। হতাহতদের উদ্ধারে স্থানীয়রাসহ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *