রবীন্দ্র স্মরনোৎসব থেকে আরিফুল হককে বাদ দেয়ার দাবিতে মিছিলে মিছিলে উত্তপ্ত সিলেট

নিজস্ব প্রতিবেদক
‘প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে খুনি আরিফের ঠাঁই নাই’ ‘বিতর্কিত ব্যক্তিদের, বাদ দাও দিতে হবে’। এমন উত্তপ্ত শ্লোগানে মুখরিত সিলেট। রবীন্দ্র স্মরনোৎসব থেকে বিতর্কিত রবীন্দ্র সংস্কৃতি বিরোধীদের অপসারণ দাবিতে গতকাল সোমবার বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় সিলেটের সংক্ষুব্ধ সংস্কৃতিসমাজ। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেল ৩টা বাজার সাথে সাথেই নগরীর রেজেস্ট্রারী মাঠ মিছিলে মিছিলে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে। সংক্ষুব্ধ সংস্কৃতি কর্মীদের এই দাবির প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করে মিছিল পরবর্তী সমাবেশে যোগ দেয় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, জয় বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ, সুরমা সাহিত্য পরিষদ, ছড়ামঞ্চ, গীতিকবি ফাউন্ডেশনসহ একাধিক প্রতিনিধিত্বশীল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। মিছিল শেষে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ বাদশা গাজীর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাউল শিল্পী বিরহী কালা মিয়া। সভায় বক্তব্য রাখেন, জয়বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি গীতিকবি হরিপদ চন্দ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রচার সম্পাদক শিল্পী এনএইচ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শিল্পী ডিকে জয়ন্ত, সংস্কৃতি ও সংবাদকর্মী দেবব্রত রায় দিপন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল মুনির প্রমুখ।

সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, সিলেটে স্মরণকালের একটি বৃহৎ সাংস্কৃতিক মহাযজ্ঞের আয়োজনে সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে যখন আনন্দ বিরাজ করছিলো, ঠিক সেই মুহুর্তে সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে ভুল বুঝিয়ে একটি চক্র বিতর্কিত ব্যক্তিদের স্থান দিয়ে এই বৃহৎ আয়োজনে একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ দেয়ার দাবীতে সিলেটের সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটে। অবশেষে বিক্ষোব্ধ সংস্কৃতিকর্মীদের আন্দোলনের মুখে জাসাস নেতা কতিথ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আমিনুল ইসলাম লিটন পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সাবেক মন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে কমিটিতে থাকা সুবিধাভোগী নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদে হত্যা মামলার আসামী এবং রবীন্দ্রসংস্কৃতি বিরোধী আন্দোলনের অনুসারি বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়নি।

এরই অংশ হিসেবে সিলেটের প্রতিনিধিত্বশীল সংস্কৃতিকর্মীদের পক্ষ থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। সমাবেশে বক্তারা, রবীন্দ্র স্মরনোৎসবে দলীয় ব্যক্তিদের আধিক্য নয়, রবীন্দ্র অনুরাগী সংস্কৃতি কর্মীদের যুক্ত করার জন্য পরিষদের আহবায়ক বরাবরে দাবি জানান। সমাবশে থেকে এই লক্ষ্যে স্মারকলিপিসহ আরো একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এর আগে সংক্ষুব্ধ সংস্কৃতি কর্মীদের দাবির প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন, সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতীলীগসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপ ও উপগ্রুপের নেতৃবৃন্দ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *