নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে প্রায় দুই মাস বন্ধ রাখার পর সিলেট নগরীর প্রবেশদ্বার খ্যাত কিন ব্রিজ খুলে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত ৮টায় ব্রিজের দুই পাশের গ্রিল কেটে খুলে দেয়া হয় কিন ব্রিজ।
তবে কিন ব্রিজ খুলে দিলেও এই ব্রিজের উপর দিয়ে ইঞ্জিনচালিত যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। এ তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন শিহাব সাংবাদিকের কাছে বলেন, “ ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে, রিক্সা, বাই সাইকেল এবং ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচলের জন্য ব্রিজটি খুলে দেয়া হয়েছে। সকল ধরণের ইঞ্জিনচালিত যানবাহন চলাচল এ ব্রিজ দিয়ে বন্ধ থাকবে।”তিনি আরও বলেন, “কিন ব্রিজের উভয় পাশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুবই সতর্ক এবং কঠোর থাকবে।
তবে এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে বাস্তবায়নে দক্ষিণ সুরমাবাসীসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।”এর আগে সিলেটের ঐতিহাসিক এই সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে নড়বড়ে অবস্থায় থাকায় যান চলাচলে দেখা দেয় ঝুঁকি। এমতাবস্থায় সংস্কারের জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সিলেট নগরীর কিন ব্রিজে দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। সংস্কার কাজ করার জন্য সিটি করপোরেশনের সাথে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং ট্রাফিক বিভাগ মিলে ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখে।এদিন মধ্যরাতেই সিলেটের ঐতিহাসিক এ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল রুখতে লোহার তৈরি বেড়ি স্থাপন করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। ফলে এই ৫২ দিন পায়ে হেঁটে সেতুটি পারাপার হন পথচারীরা। এরইমধ্যে গত ৮ অক্টোবর বুধবার রাতে ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডবাসী তাদের সন্তানদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর আগে ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে সিলেট নগরীর প্রবেশ দ্বার হিসেবে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী কিন ব্রিজ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার দাবিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এমপির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এতে তারা উল্লেখ করেন, কিন ব্রিজ বন্ধ হওয়ার ফলে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা থেকে যে সকল শিক্ষার্থী উত্তর সুরমার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করতে আসতো, তারা খুবই বিপাকে পড়েছে। এবং দক্ষিণ সুরমার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আজ ধ্বংসের দার প্রান্তে। তাদের ভোগান্তি দূরীকরণ ও ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে রিক্সা, মোটর সাইকেল ও ভ্যান গাড়ি চলাচলের জন্যে ব্রিজটি খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।পরে নগরীর দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দাদের দাবির প্রেক্ষিতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।