সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জামী-উস সানির কক্ষ সিলগালা করে দিয়েছে বুয়েট প্রশাসন। সেই সাথে আহসান উল্লাহ হলের দুটি এবং শেরেবাংলা হলের একটি মোট তিনটি কক্ষ সিলগালা করা হয়।
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারসহ ১০ দফা দাবির একটি দাবি ছিল বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোর কার্যালয় সিলগালা করতে হবে।
(১১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। শনিবার দাবিগুলোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। পূর্বে আন্দোলন শিক্ষার্থীরা ১৪ অক্টোবর প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হতে দেওয়া হবে না ঘোষণা দিলেও পরবর্তীতে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তারা। পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে আগামী দুই দিন আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ (১২ অক্টোবর) শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
এর পরই ছাত্রলীগের তিনটি কক্ষ সিলগালা করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, আহসান উল্লাহ হলের ১২১ নম্বর কক্ষ, জামী-উস সানির ৩২১ নম্বর কক্ষ, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আবরার হত্যা মামলার আসামি মেহেদী হাসান রাসেলের ৩০১২ নম্বর কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে। এসব কক্ষ রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হতো। অন্যান্য হলের ছাত্রলীগের ব্যবহৃত কক্ষগুলোও আগামীকালের মধ্যে সিলগালা করা হবে।
বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জামী-উস সানি বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে সিলগালা করার সময় আমি রুমে ছিলাম। হল প্রশাসন এসে রুমটি সিলগালা করেছে। যারা অনিয়মিত, তাদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রত্ব থাকলেও আমি নিয়মিত ছাত্র নই।’