বেতারের গাছ গভীর রাতে সরিয়ে ফেলার গোপন বৈঠক!

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: বন বিভাগের অনুমতি ও চালানপত্র ছাড়া প্রকৌশলী মনোয়ার খান, উপ প্রকৌশলী মেহেরাজ আহমদ’র প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে অবৈধভাবে গাছ ভর্তি কিছু ট্রাক ইতিমধ্যে সিলেট বেতার ভবনের বাইরে চলে গেছে । কিন্তু সংবাদকর্মীদের নজরদারী, পরিবেশবাদী ও সংস্কৃতিকর্মীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বর্তমানে অর্ধশত বর্ষী কাটা গাছ গুলো পড়ে আছে পুরো বেতার এলাকাজুড়ে । বাইরে চলে যাওয়া কাটা গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে ।

বেতার সংশ্লিষ্ট আরেকটি সূত্র জানায়, প্রকৌশলী মনোয়ার খান,উপ প্রকৌশলী মেহেরাজ আহমদ ও বার্তা বিভাগের হিসাব রক্ষক খবির উদ্দিন আখন্দের সাথে নগরীর একটি চায়নিজ রেষ্টুরেন্টে ঠিকাদার পক্ষের এক গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

সেই বৈঠকে সরকারী ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার রাতের আঁধারে গাছগুলো সরিয়ে নেয়ার কৌশল নির্ধারন করা হয় । পাশাপাশি তদন্ত টিম পর্যবেক্ষনের আগেই লেবারের সাহায্যে বৃক্ষ নিধনের অনেক আলামত নষ্ট করার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে ।

এ বিষয়ে প্রকৌশলী মনোয়ার খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং সংলিষ্ট বিষয়ে নিজের দায় এড়িয়ে যান, পাশাপাশি বলেন প্রজেক্টের পুরো দায়িত্ব পিডি মুজিবুর রহমানের।

আমরা যা করছি তা পিডি মুজিবুর রহমানের নির্দেশেই করছি ।

তিনি আরও বলেন সংলিষ্ট কাজে কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে আপনারা পিডির সাথে যোগাযোগ করে কারন জানতে পারেন ।

পিডি মুজিবুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোথাও কোন অনিয়ম হচ্ছে এমনটা শুনেননি বলে জানান, তিনি সংবাদকর্মীদের উপর বিষেদাগার করে বলেন সকল কাজেই সাংবাদিকরা দোষ খুঁজেন, এটা তাদের স্বভাব হয়ে গেছে। পিডি হয়ে প্রজেক্টে নেই কেনো এমন প্রশ্ন করলে তার উত্তর “আমি তো সবসময়ই যাচ্ছি, আঞ্চলিক প্রকৌশলী কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছি । মনোয়ার খান ভালো মানুষ উনি অনেক কিছু নিজের মতো করে ম্যানেজ করে নেন ।

উল্লেখ্য, যে পরিবেশ অধিদপ্তর বা বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই উন্নয়ন পজেক্টের নামে সিলেট বেতারের ১৪৩ টি গাছ (যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষ টাকা) নাম মাত্র মুল্য ৪ লাখ ১ হাজার টাকায় নিলাম করা হয় । হাজারী নামক জনৈক ঠিকাদার আর তিন কর্মকর্তা আঞ্চলিক প্রকৌশলী মনোয়ার খান, উপ আঞ্চলিক প্রকৌশলী মেহেরাজ আহমদ, বার্তা বিভাগের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা খবির উদ্দিন আখন্দের গোপন আঁতাতে পরিবেশ বিধ্বংসী এই কর্মটি ইতিমধ্যে সম্পাদিত হয়েছে, যা পরিবেশ কর্মী ও সংস্কৃতি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *