না ফেরার দেশে পি,আই,বি মহাপরিচালক শাহ আলমগীর

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ও সিনিয়র সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীর আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

গত দুই বছর ধরে ভারতের চেন্নাইতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন শাহ আলমগীর। গত ৪ তারিখে তিনি সিঙ্গাপুর যান চিকিৎসার জন্য। সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২০ ফেব্রুয়ারি জানান, শাহ আলমগীর লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর পাশাপাশি থ্যালাসামিয়া, উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা ও ডায়াবেটিসসহ আরও কিছু জটিলতা তার শরীরে দেখা দেয়।

পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, শাহ আলমগীরের রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছিল। ডায়াবেটিসসহ তিনি নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরদিন তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। সরকার ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তার চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ায়।

শাহ আলমগীরের সাংবাদিকতা পেশার শুরু ছাত্রজীবন থেকেই। উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর সাপ্তাহিক ‘কিশোর বাংলা’ পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। সেখানে তিনি সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত। এর পর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদে।

প্রথম আলো প্রকাশের সময় থেকেই শাহ আলমগীর পত্রিকাটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যুগ্ম বার্তা-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এর পর তিনি টেলিভিশন মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন।

পিআইবির মহাপরিচালক দায়িত্বের পাশাপাশি,সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং জাতীয় শিশু কিশোর ও যুব কল্যান সংগঠন, চাঁদের হাটের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

পারিবারিক জীবনে শাহ আলমগীর এক ছেলে ও মেয়ে সন্তানের জনক। তার স্ত্রী ফৌজিয়া বেগম একটি ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করেন।

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভোকেশনাল এক্সিলেন্স এওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি এওয়ার্ড ২০০৪’ পেয়েছেন শাহ আলমগীর।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *