সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: প্রথম মেয়াদে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হকের জন্য একরকম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল নগরীর হকাররা। সিসিক নির্বাচনের আগ মুহূর্তে আদালতের নির্দেশ ও মেয়রের অভিযানে কিছুটা হলেও মুক্ত হয়েছিল নগরীর ফুটপাথ। তবে একেবারে উচ্ছেদ সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে হকারদের সাথে হাতাহাতি পর্যন্ত হয় মেয়রের। কিন্তু ফের নগরীর ফুটপাত দখলে নিয়েছে হকাররা। আর বরাবরের মতো চুপচাপ সিসিক কর্তৃপক্ষ।
সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার হতে কোর্ট পয়েন্ট অভিমুখী রাস্তায় বক্স কালভার্ট নির্মাণের জন্য সড়কটি বন্ধ করে দেয়া হয়। একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এভাবে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়ার কারণে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। কিন্তু তবুও নগরীর উন্নয়নের স্বার্থে হাসিমুখেই ব্যাপারটি মেনে নেয় সবাই। অনেকটা ঘুরপথেই চলাচল করতে হচ্ছে অনেককে।
কিন্তু শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) থেকেই এই রাস্তায় দেখা যায় উল্টোচিত্র। রাস্তার বক্স কালভার্ট নির্মাণের স্থানটুকু বাদ দিয়ে পুরো রাস্তাই দখলে নিয়েছে হকাররা। কোর্ট পয়েন্ট (পুরানলেন রাস্তার সামনে) থেকে জিন্দাবাজার পর্যন্তা সারা রাস্তা জুড়ে হকাররা বসিয়েছেন তাদের পণ্যের পসরা। একপাশের ফুটপাতে সিসিকের নির্মাণ সামগ্রী রাখা অংশ বাদ দিয়ে রাস্তা, ফুটপাত কিছুই অবশিষ্ট নেই। সবই হকারদের দখলে। আর দিনভর নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে আসা সিসিক কর্মকর্তারা চুপচাপ আসছেন, যাচ্ছেনও কোন কিছু না বলেই। আর হকারদের এহেন দৌরাত্ম দেখে ক্ষিপ্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ফুটপাত ছেড়ে রাজপথ দখলে নিয়েছে হকাররা। ক্রেতার ভিড় না থাকলেও সারিবদ্ধভাবে শতাধিক দোকান বসানো রয়েছে প্রধান সড়কে। দুদিন আগেও সিলেটের অন্যতম ব্যস্ত এই সড়ক পরিণত হয়েছে বিশাল এক বাজারে।
জিন্দাবাজারে শপিং করতে আসা গৃহিণী তাহমিনা খানম এই প্রতিবেদককে বলেন, নির্মাণ কাজের জন্য রাস্তা বন্ধ। ঠিকমতো হাঁটার জায়গাও নেই। অথচ হকারদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তাদের জন্যই সিসিকের এই উদ্যোগ। তিনি বলেন, আমি সবুজ বিপনীতে যাবো, ভেবেছিলাম এইটুকু পথ হেঁটে যাওয়া যাবে। এখন হকারদের জন্য ঘুর পথে যেতে হচ্ছে।