শংকর দত্ত:: ছাতকে হঠাৎ চোরের উপদ্রব বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহে ছাতক পৌর এলাকা, গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় বাসাবাড়ি ও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চুরি ও ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে।
হঠাৎ চোর চক্র বেপরোয়াভাবে বেড়ে যাওয়ায় সুশীল সমাজ শিলং তীর -নামক ভয়ংকর জুয়া খেলা’কে কারন মনে করছেন।
এদিকে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও থানা পুলিশ এসব চুরি-ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারছে না।
অনুসন্ধানে যানাযায়- শিলং তীর নামক ভয়ংকর জোয়া খেলায় লক্ষ লক্ষ টাকা ঋৃণের দ্বায়ে- ঘরবাড়ী সহায় সম্পতি বিক্রি করে নিস্ব হয়েছেন শত শত যুবক ও বৃদ্ধ । ১টাকায় মিলে ৭০ টাকা লোভনীয় এ জোয়া খেলার মাত্রা বেড়ে চলেছে ছোট ছোট গ্রাম্য বাজার থেকে শহরে।
প্রভাবশালী নেতাদের দাপটে চলে ভয়ংকর শিলং তীর জোয়া।
গত শনিবার রাতে ছাতক শহরের বাগবাড়ী আবাসিক এলাকায় নেশাজাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করে ছাতক প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও সমকাল প্রতিনিধি শাহ মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের বাড়িতে লুটপাট করে চোর চক্র।
এ ছাড়া গত ১৫ দিনে শহরের মণ্ডলীভোগ এলাকার দুটি বাসা ও ওয়াপদা এলাকার একটি দোকানে ও গোবিন্দগঞ্জে ও জাওয়া বাজারে চুরি সংঘটিত হয়। মণ্ডলীভোগ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের দ্বিতীয় তলার একটি বাসা থেকে চোর দুটি মোবাইল ফোনসেটসহ নগদ ২৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। কালীবাড়ী রোডের গৌতম ঘোষের দোকানের ভেন্টিলেটার ভেঙে দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট, দুধসহ ৫০ হাজার টাকার পণ্য চুরির ঘটনা ঘটে। বাগবাড়ী কনকচাঁপা খেলাঘর আসর কার্যালয়ের দরজার দুটি তালা ভেঙে চোর আসবাবপত্র তছনছ করেছে। গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে ছাতক রোডে মিনার ষ্টোরে সিগারেট ও ক্যাশ টাকা সহ প্রায় তিন লক্ষ টাকার মালামাল চুরির ঘটনায় শহরের আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন।
শিলংতীর নামক জোয়া খেলা নিয়ে পূর্বে বেশ কয়েক বার প্রতিবেদন করা হলেও শিলং তীর জুয়ারী কিংবা এজেন্ট দের টনক নেড়ে নি। পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে চলে এসব জুয়া।
ছাতক থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, চুরির ঘটনাগুলো তারা জেনেছেন। এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। শিগগিরই এই চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হবে।