সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেছেন, পেশাদারিত্বের বিকাশের জন্য সাংবাদিকতা পুরস্কার খুবই গুরুত্ব বহন করে। পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সাংবাদিকদের মধ্যে কাজের প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের চোখ কান নাক। সমাজের অসঙ্গতি ধরিয়ে দেন একজন সাংবাদিক। তবে শুধু নেগেটিভ খবরকেই খবর বলা যাবে না। পজেটিভ খবর আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সোমবার বিকেলে সিলেট প্রেসক্লাব-এমসি ফাউন্ডেশন সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০১৮ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ ধরনের মহতি উদ্যোগে পৃষ্টপোষকতা করায় প্রবাসী সাংবাদিক লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এমসি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মহিব চৌধুরীকে অভিনন্দন জানান।
ক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে এবং পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক খালেদ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন এমসি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মহিব চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি এনামুল হক জুবের, সহসভাপতি এম এ হান্নান, দৈনিক প্রভাত বেলা সম্পাদক কবীর আহমদ সুহেল, সিনিয়র সাংবাদিক ছিদ্দিকুর রহমান, দৈনিক জালালাবাদের চিফ রিপোর্টার আহবাব মোস্তফা খান, দৈনিক সিলেটের ডাক এর সিনিয়র রিপোর্টার কাউসার চৌধুরী, প্রমুখ। শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ক্লাব সদস্য ইদ্রিছ আলী।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মহিব চৌধুরী বলেন, আমি জীবনের সিংহভাগ সময় সাংবাদিকতা পেশায় কাটিয়েছি, বহু সমাজসেবামূলক কাজ করেছি। সাংবাদিকদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে এমন সুন্দর একটি উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরে নিজেকে গৌরবান্বিত বোধ করছি। এ পুরস্কারের মাধ্যমে সিলেটের সাংবাদিকদের মধ্যে পেশাগত কাজের শুদ্ধ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে বলে আশা করেন তিনি।
প্রথমবারের মত আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় পাঁটি ক্যাটাগরিতে ছয়জন সাংবাদিক পুরস্কার লাভ করেন। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, স্থানীয় সংবাদপত্র ক্যাটাগরিতে দৈনিক সিলেটের ডাক এর স্টাফ রিপোর্টার ইউনুছ চৌধুরী, জাতীয় সংবাদপত্রে দৈনিক প্রথম আলোর জুনিয়র রিপোর্টার মানাউবী সিংহ শুভ, আলোকচিত্রে ডেইলি স্টারের শেখ আশরাফুল আলম নাসির, টেলিভিশন প্রতিবেদনে যৌথভাবে চ্যানেল ২৪ এর গোলজার আহমেদ ও সময় টেলিভিশনের মো. আবদুল আহাদ এবং টেলিভিশন ভিডিওচিত্রে সময় টেলিভিশনের চিত্র সাংবাদিক দিগেন সিংহ। বিজয়ী প্রত্যেককে নগদ ১০ হাজার টাকা ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষপর্বে আজীবন এ পুরস্কার প্রদানের লক্ষ্যে সিলেট প্রেসক্লাব ও এমসি ফাউন্ডেশনের মধ্যে চুক্তিস্বাক্ষর সম্পন্ন হয়।