আদালতের নির্দেশ মানছেন না বড়ভাই, প্রশাসনের সহযোগিতা পাচ্ছি না :সংবাদ সম্মেলনে কানাইঘাটের বশির

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: নিজের বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে কানাইঘাট পৌরসভার ডালাইচর গ্রামের বশির আহমদ বলেছেন, পারিবারিক সম্পদ ভাগাভাগির ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতা, প্রতারণা ও জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। উচ্চ আদালতের নির্দেশনাও মানছেন না। বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থাকায় অভিযোগ করে পুলিশের কোন সহযোগিতা পাচ্ছেন না।

বশির আহমদ সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চার ভাইয়ের মধ্যে তিন ভাই যৌথভাবে সাংসরিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলাম। আমি সৌদি আরব প্রবাসী। সেখানে টাকা রোজগার করে সবসময় বড় ভাই জালাল আহমদের হাতে তুলে দিয়েছি। সেই টাকা দিয়ে কানাইঘাট পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জমি ক্রয় করে সেখানে বাড়ি নির্মাণ করি। ঐ বাড়িতেই আমরা তিন ভাই এখনো অবস্থান করছি।

তিনি বলেন, যৌথ জমি ভাগ করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে আমার বড় ভাইয়ের আসল চরিত্র। তিন ভাই সমানভাবে ভাগ পাওয়ার কথা থাকলেও তিনি সুকৌশলে বাড়ির একবারেই সামনে পৌরসভার রাস্তার সংলগ্ন ভুমি দখল করে নেয়ার চেষ্টা শুরু করেন।

বশির আহমদ বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে আলাদা হয়ে গেলে মার্কেটের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে তিন ভাই সমান ভাগ পাওয়ার কথা থাকলেও বড় ভাই একাই মার্কেট দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে তার দাবির প্রেক্ষিতে আত্মীয় স্বজন ও সালিশ ব্যক্তিদের অনুরোধে কানাইঘাট বাজারের অন্য দুটি দোকান তার নামে লিখে দিই।

তবুও জালাল আহমদের চরিত্র বদলায়নি বলে জানান প্রবাসী বশির আহমদ। তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় তিনি কথা রাখেননি। ২০১৮ সালের ৬ জুলাই আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই হঠাৎ অসমাপ্ত মার্কেটের কাজ পুনরায় শুরু করেন। অসহায় হয়ে আমরা আদালতে যাই। মহামান্য হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর ওই ভূমিতে স্থীতাবস্থা জারি করেন। কোনপক্ষ যাতে নির্মাণ কাজ করতে না পারেন এই আদেশ দেন।

বশির আহমদের অভিযোগ, গত ৩ জানুয়ারী রাতে শতাধিক মানুষ নিয়ে পুনরায় মার্কেটের কাজ শুরু করেন বড় ভাই জালাল আহমদ। তিনি সন্ত্রাসীদের দিয়ে ঘরের চারিদিক ঘেরাও করে রাখেন। তখন কানাইঘাট থানার ওসিসহ পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে পাইনি।

পুলিশের অসহযোগিতার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, পরদিন থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেন। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৩শ’ গজ দূরে থানা হলেও একসপ্তাহ পর থানার তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর আমাকে থানায় কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলেন। আমি গিয়েছি, কিন্তু মার্কেটের নির্মাণকাজ বন্ধ হয়নি।

বড় ভাইয়ের হুমকি-ধমকিতে নিজের স্ত্রী-সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *